BJP National Executive Meeting: ভোটযুদ্ধে জয়ের টোটকা দিতে পারেন খোদ নমো, হাইব্রিড মোডেই শুরু বিজেপির কার্যসমিতির বৈঠক
PM Modi BJP attend National Executive Meeting: বিজেপির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ আগামী বছরই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব সহ মোট ৫টি রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এরমধ্যে পাখির চোখ করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে।
নয়া দিল্লি: জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসলেন বিজেপি(BJP)-র শীর্ষ নেতারা।রবিবার দিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির এই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক (National Executive Meeting)। এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah), বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত দুই বছর ধরে এই বৈঠক না হলেও বর্তমানে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং আগামী বছরই ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় এবার হাইব্রিড মোডে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট ৩০০ জন বিজেপি নেতা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, এরমধ্যে ১২৪ জন সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন, বাকিরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই প্রথম বিজেপির কার্যসমিতির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।
বৈঠক শেষে দুপুর ১২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বিজেপির কার্যসমিতির বৈঠক নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। সেখানেই বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলি তুলে ধরবেন তিনি।
বিজেপির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ আগামী বছরই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব সহ মোট ৫টি রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এরমধ্যে পাখির চোখ করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে, কারণ এই নির্বাচনের ফল দিয়েই ২০২৩ সালের লোকসভা নির্বাচনের গতিপ্রকৃতিও আন্দাজ করা যাবে। প্রথমে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও, এই বৈঠকের গুরুত্ব বুঝেই দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছর এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন প্রতিটি দলের জন্যই লিটমাস টেস্ট হতে চলেছে। আর সেদিক থেকে বিজেপি অবশ্যই চাইবে, নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে। সেই কারণেই এদিনের বৈঠকে নির্বাচনী রণকৌশল ও প্রচার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও নির্বাচন নিয়ে একাধিক পরামর্শ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
১৩ টি রাজ্যে তিনটি লোকসভা এবং ২৯ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে দলের মিশ্র ফলাফলও আজকের এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশে একেবারে ক্লিন সুইপ দিয়েছে। মান্ডি আসন এবং তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে নিয়েছে কংগ্রেস।
এর পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির ভরাডুবিও জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে। বিশেষ করে মাসখানেকের মধ্যে কীভাবে এতটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির জবাব চাইতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এমনটাই সূত্রের খবর।
রাজ্য থেকে দিলীপ ঘোষ, অনুপম হাজরা বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও স্বপন দাশগুপ্ত বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।