৭৫ বছরে প্রথমবার! স্বাধীনতা দিবসে তিরঙ্গা উড়ল ওড়িশার মাওবাদী অধ্যুষিত এই এলাকায়

Maoist Area: ওড়িশার ওই এলাকা বিচ্ছিন্ন করে রাখত মাওবাদীরা। ওড়িশার ওই এলাকা সিপিআই (মাওইস্ট) অন্ধ্র ওড়িশা বর্ডার স্পেশ্যাল জোনাল কমিটির প্রধান কার্যালয় ছিল।

৭৫ বছরে প্রথমবার! স্বাধীনতা দিবসে তিরঙ্গা উড়ল ওড়িশার মাওবাদী অধ্যুষিত এই এলাকায়
স্বাধীনতা দিবস পালন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 4:19 PM

মালকানগিরি: ওড়িশার মালকানগিরি এলাকা। দীর্ঘ দিন ধরেই তা মাওবাদীদের গড় হিসাবে পরিচিত ছিল। মাওবাদীদের শাসনই চলত সেখানে। তাঁদের ফতোয়ার বাইরে বেরিয়ে কোনও কাজ করতে সাহস দেখাতেন না গ্রামবাসীরা। তাই স্বাধীতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তিরঙ্গা উড়তে দেখা যায়নি সেখানে। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস কোনও কিছুই উদযাপিত হত না সেখানে। বদলে কালো পতাকা উড়াতেন মাওবাদীরা। কিন্তু পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি বদলেছে ওড়িশার মাওবাদী অধ্যুষিত ওই এলাকায়। স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫ বছর পেরিয়ে প্রথম বার জাতীয় পতাকা উড়ল সেখানে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে স্বাধীনতা উদযাপনে মাতলেন সেখানকার গ্রামবাসীরা।

ওড়িশার ওই এলাকা বিচ্ছিন্ন করে রাখত মাওবাদীরা। স্বাভিমান অঞ্চল হিসাবে পরিচিত ছিল তা। ওড়িশার মালকানগিরির ওই এলাকা সিপিআই (মাওইস্ট) অন্ধ্র ওড়িশা বর্ডার স্পেশ্যাল জোনাল কমিটির প্রধান কার্যালয় ছিল। তা মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণেই থেকেছে বছরের পর বছর। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস, ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হত না সেখানে। এমনকি সরকারি অফিস চত্বরও শুনশান থাকত এই সব দিনে। বদলে কালো পতাকা উড়ানো হত। মালকানগিরি এলাকায় পরিস্থিতির বদল হলেও মাহুপদর-তেমুরপল্লী এলাকায় মাওবাদীরা এখন সক্রিয় রয়েছে।

মালকানগিরির ওই গ্রামগুলিতে মাওবাদী প্রভাব অনেকটাই কমেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানে ওই এলাকায় অনেকটাই কোনঠাসা মাওবাদীরা। সেখানে স্কুল, রাস্তঘাট তৈরির কাজ, মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজ হয়েছে বিগত বছরে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ক্যাম্পও তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে মোবাইলও বিতরণ করা হয়েছে। প্রশাসনের এই পদক্ষেপই গ্রাম ছেড়ে পালাতে হয়েছে মাওবাদীদের। মাও প্রভাব কমতেই প্রথম বার স্বাধীনতা দিবস পালিত হল সেখানে। এই প্রথম বার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’-এ মেতে উঠলেন ওড়িশার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা।