‘এত কথা না বলে নিয়ম কানুন মেনে চলুন’, টুইটারকে সতর্ক বার্তা কেন্দ্রের
দেশের পরম্পরার প্রসঙ্গ তুলে মাইক্রো ব্লগিং এই সাইটকে (Twitter) এতটা 'উদ্বিগ্ন' না হওয়ার বার্তা দিল কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
নয়া দিল্লি: এবার টুইটারকে কড়া ভাষায় ‘বাক স্বাধীনতা’ বোঝাল কেন্দ্র। দেশের পরম্পরার প্রসঙ্গ তুলে মাইক্রো ব্লগিং এই সাইটকে এতটা ‘উদ্বিগ্ন’ না হওয়ার বার্তা দিল কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। কেন্দ্রের নতুন ডিজিটাল নীতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই টুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা দাবি করে, কেন্দ্রের এই নয়া নীতির ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ হতে পারে। এমনকী কেন্দ্রের আইন মেনে চলার কথা বলা হলেও টুইটার কর্তৃপক্ষ কয়েকটি নিয়মে পরিবর্তন আনা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে চায় বলেও দাবি করে। এরপরই এদিন একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে। সেখানে বলা হয়, বাক স্বাধীনতা হল ভারতের পরম্পরা। বহু বছর ধরে সেই পরম্পরা এগিয়ে চলেছে।
Press Release by Ministry of Electronics and IT in response to the statements made by Twitter Inc. pic.twitter.com/hQxCGuoEaG
— Ministry of Electronics & IT (@GoI_MeitY) May 27, 2021
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টুইটার বিশ্বের সব থেকে বড় মাইক্রো ব্লগিং সাইট। কিন্তু তারা এই দেশের উপর নিজেদের শর্ত আরোপ করার চেষ্টা করছে। তারা এ দেশের আইনি ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছে। টুইটারকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, এত কথা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দেশের আইন কানুন মেনেই চলতে হবে।
একইসঙ্গে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিয়মকানুন যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের বিষয়। কিন্তু টুইটার একটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। তাই দেশের আইন প্রণেতারা কী করবেন তা টুইটারের কাছ থেকে কেন্দ্র শুনবে না। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক টুইটারে প্রশ্ন তোলে, টুইটার কর্তৃপক্ষ আগে জানাক, ভারতে তারা ঠিকমত পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা কেন তৈরি করেনি। ভারতের লোকজনের কোনও সমস্যা হলে তা নিয়ে কেন আমেরিকার দফতরকে জানাতে হয়। অথচ ভারতে টুইটারের ইউজার্স মোটেই কম নয়। ভারত থেকে ভাল মতই অর্থ আয় করে মাইক্রো ব্লগিং এই সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘টিকা না নিলে আগামী মাসের বেতন বন্ধ’, সরকারি নির্দেশিকায় হইচই
টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের ঝামেলার সূত্রপাত টুলকিট মামলা থেকে। যে ঘটনার জেরে দিল্লি পুলিশ টুইটার ইন্ডিয়ার দু’টি অফিসে পর্যন্ত সম্প্রতি হানা দিয়েছিল। এরপরই টুইটার সংস্থার কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। একইসঙ্গে টুইটার অভিযোগ করে, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে এ দেশের কেন্দ্রীয় সরকার।