Tihar Jail: তিহাড় জেলের ভিতরেই বন্দিদের ‘গ্যাং ওয়ার’! কুপিয়ে খুন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে
Lawrance Bishnoi Gang: শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ তিহাড়ের তিন নম্বর জেলে হঠাৎ বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মূলত দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই সংঘর্ষ হচ্ছিল। কারারক্ষীরা সংঘর্ষ থামানোর আগেই কয়েকজন বন্দি গ্যাংস্টার প্রিন্সকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
নয়া দিল্লি: দেশের সবথেকে বেশি নিরাপত্তাযুক্ত কারাগার তিহাড় জেল (Tihar Jail)। তার ভিতরেই কিনা জেলের ভিতরেই চলছে ‘গ্যাং ওয়ার’ (Gang War)! শুক্রবার তিহাড় জেলে হুলুস্থুলু কাণ্ড। জেলের অন্দরেই শুরু হয়ে গেল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষ, হাতাহাতি এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছল যে জেলের ভিতরেই খুন হয়ে গেল এক গ্যাংস্টার। নিহত ওই গ্যাংস্টারের নাম প্রিন্স তেওয়াতিয়া (Prince Tewatia)। কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্য়াংয়ের সদস্য ছিল প্রিন্স। শুক্রবার তিহাড় জেলের ভিতরেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। বন্দিদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে আরও পাঁচজন আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ তিহাড়ের তিন নম্বর জেলে হঠাৎ বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মূলত দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই সংঘর্ষ হচ্ছিল। কারারক্ষীরা সংঘর্ষ থামানোর আগেই কয়েকজন বন্দি গ্যাংস্টার প্রিন্সকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। কমপক্ষে ৫ থেকে ৭বার কোপানো হয়েছিল প্রিন্সকে। জেল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্স ও আহত আরও ৫ বন্দিকে নিয়ে দিল্লির দীন দয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রিন্সকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি বন্দিরা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অপরাধ জগতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যোগ ছিল প্রিন্সের। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, রাহাজানি, লুটপাট-সহ মোট ১৬টি ফৌজদারি অপরাধের মামলা ছিল। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করার পর থেকে তিহাড় জেলে থাকছিলেন প্রিন্স। মৃত ওই বন্দি আবার কুখ্যাত জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য। ভাটিন্ডার জেলে বন্দি এই লরেন্স বিষ্ণোই সম্প্রতি একাধিকবার বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে হুমকি দেয়। পঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্য়ার পিছনেও এই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের হাত ছিল।