হাঁটুর বয়সী ছেলেকে নিয়েই এমন কেলেঙ্কারি যুবতীর! হতবাক পুলিশও
Wedding: পাত্রের পরিবারের সদস্যরা জানান, আইন না জেনেই তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন। তাঁদের দাবি, পাত্রের বাবা-মা অসুস্থ তাই ঘরোয়া দায়িত্ব পালনের জন্যই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
হরিয়ানা: হাঁটুর বয়সী ছেলে বিয়ে করে ফেলছিলেন এক যুবতী। কোনও ক্রমে আটকানো হল। হরিয়ানার দিদওয়াদা গ্রামের ঘটনা। এক ১৫ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে বিয়ে করার তোড়জোড় করছিলেন এক ২৬ বছর বয়সী মহিলা। আর সেটাই সময়মতো থামিয়ে দেন কর্মকর্তারা। বাল্যবিবাহের খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। অফিসার সুনীতা ও তাঁর দলবল যাওয়ার পর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
বিয়ে করে পাত্র এসেছিল উত্তর প্রদেশের শামলি জেলা থেকে। হরিয়ানার দিদওয়াদা গ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল সেই অনুষ্ঠান। পাত্রের বয়স সম্পর্কিত নথিপত্র খতিয়ে দেখা গিয়েছে তার বয়স মাত্র ১৫ বছর ৪ মাস। আর কনের বয়স ২৬ বছর। আইন অমান্য না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে পাত্র ও পাত্রীর বাবা-মা’কে।
পাত্রের পরিবারের সদস্যরা জানান, আইন না জেনেই তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন। তাঁদের দাবি, পাত্রের বাবা-মা অসুস্থ তাই ঘরোয়া দায়িত্ব পালনের জন্যই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। নারী সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের পরিবারের তরফে লিখিতভাবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে আইন মেনেই চলবে তারা।
ভারতে, বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইনের অধীনে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের এবং ২১ বছরের কম বয়সী ছেলেদের বিয়ে অবৈধ। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শুধু বাল্যবিবাহ বন্ধই করেনি, এর কুফলও পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে দেয়। কর্মকর্তারা আরও বলেন, বাল্যবিবাহ শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শিশুরা যাতে তাদের অধিকার পায় এবং নিরাপদ পরিবেশে বড় হতে পারে সেই জন্য এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করা খুবই জরুরি।