New Election Commissioners: এই দুজনকে নির্বাচন কমিশনার বাছল মোদীর কমিটি, আগ বাড়িয়ে ঘোষণা অধীরের

New Election Commissioners: নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের নাম ঘোষণা করার আগেই, আগ বাড়িয়ে নয়া দুই নির্বাচন কমিশনারের নাম জানিয়ে দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক উচ্চ-স্তরের কমিটি দুই নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসেছিল। লোকসভার সবথেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে এই কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন অধীর।

New Election Commissioners: এই দুজনকে নির্বাচন কমিশনার বাছল মোদীর কমিটি, আগ বাড়িয়ে ঘোষণা অধীরের
নয়া দুই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 14, 2024 | 3:36 PM

নয়া দিল্লি: নয়া দুই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত দুই সরকারি কর্তা জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু। জ্ঞানেশ কুমার কেরলের বাসিন্দা, আর সুখবীর সিং সান্ধু পঞ্জাবের। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের নাম ঘোষণা করার আগেই, আগ বাড়িয়ে নয়া দুই নির্বাচন কমিশনারের নাম জানিয়ে দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক উচ্চ-স্তরের কমিটি দুই নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসেছিল। লোকসভার সবথেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে এই কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন অধীর। এছাড়া, কমিটির তৃতীয় সদস্য হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বৈঠক থেকে বেরিয়েই অধীর জানান, দুই নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের জন্য তাঁদের সামনে ছয়টি নামের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা ছিল। তালিকায় জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু ছাড়াও ছিল উৎপল কুমার সিং, প্রদীপ কুমার ত্রিপাঠি, ইন্দিবর পান্ডে এবং সুধীর কুমার গঙ্গাধরের নাম। তবে, বৈঠকের আগে বারবার চাওয়া সত্ত্বেও এই তালিকা তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অধীর। ফলে, অফিসারদের মূল্যায়নের সময় পাননি তিনি।

অধীর বলেছেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আমি এবং অর্জুন রাম মেঘওয়ালের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সদস্যরা ছিলেন। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই, আমি বাছাই করা নামগুলির তালিকা চেয়েছিলাম। চূড়ান্ত নাম বাছাইয়ের আগে সম্ভাব্য অফিসারদের নামের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়। আমি সেই তালিকা চেয়েছিলাম। আমি যদি দিল্লি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই তালিকাটি পেতাম, তবে আমি প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারতাম। কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।”

কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, গত রাতে তিনি দিল্লিতে এসেছেন। তারপর তাঁর হাতে ২১২ জন সম্ভাব্য অফিসারদের নামের একটি দীর্ঘ তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সকাল ১২টায় নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে ২১২ জন অফিসার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল।

অধীর বলেছেন, “এই অবস্থায় আমি ভেবে দেখলাম, এই ২১২টি নাম দেখে লাভ কি। আমাদের কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন এবং বিরোধী পক্ষ থেকে একমাত্র আমি। কাজেই, প্রথম থেকেই এই কমিটিতে সরকারের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার যা চাইবে, সেটাই হবে। সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ীই নির্বাচন কমিশনার বাছাই করা হবে।”

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মেয়াদ ফুরিয়েছিল অনুপ চন্দ্র পান্ডের। এরপর, ৮ মার্চ বঙ্গ সফরে গিয়ে আচমকা ইস্তফা দেন আরেক নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। এর ফলে, নির্বাচন কমিশনারের দুটি পদ খালি পড়ে ছিল। প্যানেলে রয়ে গিয়েছিলেন একমাত্র প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। এদিন, অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের প্রসঙ্গ নিয়েও সরকারকে কটাক্ষ করেন অধীর। তিনি বলেন, “অরুণ গয়াল বিদ্যুতের গতিতে এসেছিলেন, ডিজিটাল গতিতে চলে গেলেন।” প্রসঙ্গত, অরুণ গোয়ালের নিয়োগের সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, তাঁর নিয়োগ আলোর গতিতে হয়েছে।