Kolkata: আগুনে পোড়া শহরে বিকোচ্ছে হাজার হাজার AC, অনুমতিহীন সংযোগেই বাজছে বিপদ ঘণ্টা?
Kolkata: বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তাদের দাবি, গত বছর অনেকে নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কিনেই ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিলেন। যন্ত্র ব্যবহারের আগে নিয়মানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে জানাননি। ফলে, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রের জন্য লোড বাড়াতে পারেনি সিইএসসি।
কলকাতা: তীব্র তাবপ্রবাহের কবলে গোটা বঙ্গ। আগামী কয়েকদিনও এই অসহ্য গরমের হাত থেকে মুক্তি নেই। এমনটাই বলছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। এদিকে গরম যত বাড়ছে ততই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে শহরে। লাগাতার লোডশেডিংয়ের ছবিও দেখা যাচ্ছে। এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমশ আকাশচুম্বী হওয়ায় বিদ্যুতের কেভি ষ্টেশনগুলি অত্যাধিক পরিমাণে গরম হয়ে যাচ্ছে। আগুন লাগার ঘটনাও বাড়ছে। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।
সম্প্রতি কসবায় এই একই কারণে একটি কেভি স্টেশনে আগুন লেগে যায়। কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় আমফানের জেরে যে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছিল শহরজুড়ে, তার মেরামত অস্থায়ীভাবে কোথাও কোথাও হয়েছে। তবে যে তারগুলি পুনরায় একটির সঙ্গে অপরটির সংযোগ করা হয়েছিল সেগুলিও অত্যন্ত নিম্নমানের, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার এই অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে এখন অত্যাধিক বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ছে এবং দীর্ঘক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে বলে দাবি বিভিন্ন মহলের।
বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তাদের দাবি, গত বছর অনেকে নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কিনেই ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিলেন। যন্ত্র ব্যবহারের আগে নিয়মানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে জানাননি। ফলে, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রের জন্য লোড বাড়াতে পারেনি সিইএসসি। এর পরে বাড়তি বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে বহু জায়গাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবারেও সেই একই ছবি দেখা যেতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সিইএসসি সূত্রের খবর, গত এক মাসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১৫ হাজার ৬৮৩টি। গত বছরে একই সময়সীমায় আবেদন জমা পড়েছিল ১১ হাজার ৫০টি। সিইএসসি-র দাবি, সব মিলিয়ে গত বছর মোট ৫০ হাজার এমন আবেদন এসেছিল তাদের কাছে। কিন্তু বাজারের যা খবর, তাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিক্রি হয়েছিল কয়েক লক্ষেরও বেশি। এবারের অঙ্কটা গতবারের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, বিদ্যুতের জোগান কতটা মিলবে তা এখন প্রশ্ন চিহ্নের সামনে।