Gyanvapi Mosque Case : মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ, জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো চলবে, বড় নির্দেশ
Gyanvapi Mosque Case : জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজার্চনা শুরু হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। কিন্তু তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্পষ্ট বলে দেয়, জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যস জি কা তয়খানাতে' হিন্দুদের পুজোপাঠ জারি থাকবে।
নয়া দিল্লি: জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুরা পুজো করতে পারবেন। রায় বহাল রাখল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সোমবারের শুনানিতে মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি। জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজার্চনা শুরু হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। কিন্তু তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্পষ্ট বলে দেয়, জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যস জি কা তয়খানাতে’ হিন্দুদের পুজোপাঠ জারি থাকবে। । বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ এই রায় দেয়।
প্রসঙ্গত, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কী ভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি পায়, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। এবিষয়ে বারাণসী জেলা বিচারক আগেই নির্দেশে জানিয়েছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো চলবে। বিচারক ওই নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে মসজিদের দক্ষিণ দিকের ভূগর্ভস্থ পাতাল ঘরে পুজোর আয়োজন করতে হবে।
সেই নির্দেশের পরই, জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাসের তহখানায় আবার সমস্ত উপচারে পুজো করা হয়। যা নিয়ে আপত্তি তোলেন মসজিদের দায়িত্বে থাকা অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। বারাণসী আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট বারাণসী জেলা আদালতের ৩১ জানুয়ারির রায় বহাল রাখে।
প্রসঙ্গত, তহখানা হচ্ছে মসজিদের নীচের ভূগর্ভস্থ ঘর বা পাতালঘর। জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে এমন চারটি তহখানা রয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ দিকের তহখানাটি এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন। তাই তহখানাটির নাম ‘ব্যাস কি তহখানা’। সেখানেই পুজো করা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত।