Supreme Court Suo Moto Cognizance: বিচারপতি বনাম বিচারপতি সংঘাত, দুই বেঞ্চের নির্দেশেই স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court Suo Moto Cognizance: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে বিশেষ বেঞ্চ।

নয়া দিল্লি: বিচারপতি বনাম বিচারপতির যে নজিরবিহীন সংঘাত সামনে এসেছে কলকাতা হাইকোর্টে, সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের যাবতীয় নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন স্পেশাল বেঞ্চ। অর্থাৎ মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের সেই নির্দেশকে মান্যতা না দিয়েই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে হস্তক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। শনিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়আই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের বিশেষ বেঞ্চে ছিল শুনানি।
কী নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের?
পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সব নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। ডিভিশন বেঞ্চ বা সিঙ্গল বেঞ্চ আপাতত মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত ওই মামলার কোনও শুনানি করতে পারবে না। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তার আগে রাজ্য সরকারকে তাদের অবস্থান জানানোর জন্য নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। নোটিস দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কেও।
কেন্দ্রের তরফে সওয়াল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার
কেন্দ্রের তরফ এদিন সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সলিসিটর জেনারেল জানান, সিঙ্গল বেঞ্চ ঠিক নাকি ডিভিশন বেঞ্চ, তা তাঁরা দেখছেন না। তবে কলকাতা হাইকোর্টে যা হচ্ছে তাতে বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে উল্লেখ করেছেন তুষার মেহতা। তাই এই নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। শুনানিতে তিনি জানান, ২ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে একটি নোট তিনি জমা দেবেন আদালতে। কোন নথি ছাড়াই কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চ অর্ডার পাস করল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
সিঙ্গেল বেঞ্চের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যের
রাজ্য সরকারের তরফে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁর দাবি, সিঙ্গেল বেঞ্চে যেভাবে শুনানি হচ্ছে, সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আজ তাঁরা দীর্ঘ শুনানি করতে চান না। রাজ্য সরকারকেও নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সব পক্ষ তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারবে শীর্ষ আদালতে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে এদিন স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে রাজ্য সরকার। আগামী সোমবার সেই মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত।
বিশেষ আবেদন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বারবার কেন তাঁর নাম সামনে আসছে, এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মামলায় একটি লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
বিচারপতি সৌমেন সেনের রায় রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বলে উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশনামায় উল্লেখ করেছিলেন, রাজনৈতিক স্বার্থেই বিচারপতি সৌমেন সেন এই নির্দেশ দিয়েছেন।





