আরও ১৩টি নমুনায় মিলল জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি, কড়া সতর্কতা জারি কেরলে
Zika Virus in Kerala: ডেঙ্গুর মতো একই উপসর্গের এই জিকা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা না থাকায় বিশেষ উদ্বেগে রয়েছে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তিরুবনন্তপুরম: একদিকে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ, অন্যদিকে বাড়ছে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও। দুই ভাইরাসের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে কেরল। চলতি সপ্তাহেই ৪৫ বছরের এক মহিলার শরীরে প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া গেলেও কয়েকদিনের মধ্যেই আরও ১৩ জন আক্রান্তের খোঁজ মেলায় বর্তমানে রাজ্যে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪।
শুক্রবার ন্য়াশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির তরফে নতুন করে ১৩ জন আক্রান্তের খোঁজ মেলার বিষয়টি জানানোর পরই রাজ্য়ে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ১৩টি নমুনাতেই জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
ডেঙ্গুর মতো একই উপসর্গের এই জিকা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা না থাকায় বিশেষ উদ্বেগে রয়েছে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার ২৪ বছরের এক গর্ভবতী মহিলার শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া যাওয়ায় কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, “যদি কোনও গর্ভবতী মহিলার জ্বর হয়, তবে তাদের সঙ্গে সঙ্গে জিকা ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা দরকার। জিকা সংক্রমণ কমানোর জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যানও তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করা হয়েছে।”
জিকার প্রাথমিক উপসর্গ হল জ্বর। তবে ডেঙ্গুর সঙ্গে উপসর্গে মিল থাকায় বিনা পরীক্ষায় জিকা ভাইরাস চিহ্নিত করা অসম্ভব। তবে জিকায় সাধারণত যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল, জ্বর, নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যাথা, গায়ে র্যাশ। এক সপ্তাহের বেশি এই উপসর্গগুলি থাকলে জিকা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অনেক রোগী ক্ষেত্রে কনজাংটিভাইটিসও দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: ভারতে হাজির ‘জিকা’, কী উপসর্গ? কতটা আতঙ্কের?