Tihar Jail: ‘VIP’ তিহাড়ের কড়া নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে দাপট চলে গ্যাংস্টারদের?

Tihar Jail: প্রসঙ্গত, তিহাড় জেলে রয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড বন্দি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (PMS), মোবাইল জ্যামার, এক্স-রে স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর এবং কুইক রিয়াকশন টিম।

Tihar Jail: ‘VIP’ তিহাড়ের কড়া নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে দাপট চলে গ্যাংস্টারদের?
‘VIP’ তিহারের কড়া নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে দাপট চলে গ্যাংস্টারদের? জেল থেকেই কীভাবে করেন অপারেট?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 03, 2023 | 7:10 AM

নয়া দিল্লি: কথায় বলে এই জেলের বেড়া ভাঙা বড়ই মুশকিল। নিরাপত্তা নিয়েও ওঠে না কোনও প্রশ্ন। বিভিন্ন মামলায় বিচারাধীন বন্দি হিসেবে যেমন রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন। তেমনই এই জেলে রয়েছে কুখ্যাত সব অপরাধীরাও। ভারতের সবথেকে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে থাকা জেলের তালিকায় সর্বদাই শীর্ষ তালিকায় থাকে তিহাড় জেল। দক্ষিণ এশিয়ার (South Asia) বৃহত্তম জেল হিসাবেও খ্য়াতি রয়েছে তিহাড়ের (Tihar Jail)। রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার বন্দি। যার মধ্যে অনেকের গায়েই রয়েছে আবার ভিআইপি ট্যাগ। সম্প্রতি এই জেলেই হয়েছে গ্যাংস্টারদের (Gangstar Murder in Tihar Jail) তুমুল হাতাহাতি। ঝরেছে রক্ত। প্রাণ গিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার তথা রোহিনী আদালতে শুটআউটে অভিযুক্ত তিলু তাজপুরিয়া। তারপর থেকেই ফের খবরের শিরোনামে তিহাড়। কিন্তু, জানেন কী এই কড়া প্রহরার ঘেরাটোপে থাকা তিহাড় জেলে থেকেও কীভাবে নিজেদের কাজ-কারবার, দাপট ঠিকই বজায় রাখে গ্যাংস্টাররা?  

সিসিটিভি ক্যামেরা, অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সর্বক্ষণের পুলিশি নজরদারি ভেদ করেও প্রায়শই এই জেলের মধ্যে হাতাহাতির খবর সামনে আসে। ২০২১ সালে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমাতঙ্কের ঘটনার তদন্ত করছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। এ ঘটনায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের বড় নেতা তেহসিন আক্তারের কাছ থেকে দুটি মোবাইল উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। তখন তিনি তিহাড়েই ছিলেন। 

বারবার সামনে এসেছে মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগ

শোনা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে তিনি ওই মোবাইল ব্যবহার করছিলেন। কিন্তু, জেলের মধ্যে তার কাছে মোবাইল গেল কী করে, কারা তাঁকে সাহায্য করল সে বিষয়ে উঠতে থাকে একাধিক প্রশ্ন। তিহাড়ের নিরাপত্তা নিয়েও উঠে যায় একাধিক প্রশ্ন। এমনকী জেলের অন্দরে মোবাইলের ব্যবহার ঠেকাতে রয়েছে জ্যামারও। তারপরেও তেহসিন আক্তার কীভাবে ওই ফোন ব্যবহার জারি রাখলেন তা নিয়ে বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। 

প্রসঙ্গত, তিহাড়েই রয়েছেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডল। মহিলা ওয়ার্ডে রয়েছেন  তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বন্দি গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত, মণীশ কোঠারি, সায়গল হোসেন ও এনামূল হকেরাও। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতানামা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই নন, তিহাড়ে রয়েছেন দিল্লি সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, শিক্ষমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের মতো ব্যক্তিত্বরাও। 

কীভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে চলে নজরদারি? 

প্রসঙ্গত, তিহাড় জেলে রয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড বন্দি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (PMS), মোবাইল জ্যামার, এক্স-রে স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর এবং কুইক রিয়াকশন টিম। এত কড়া নিরাপত্তা থাকার পরেও বারবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তিহাড়ের সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে। সমস্ত নজরদারি ব্যবস্থা ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই সমস্ত জ্যামারগুলি ৪জি সিগন্যাল আটকাতে সক্ষম কিনা এ বিষয়ে জানতে ২০২১ সালে মার্চ মাসে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে আরটিআই করা হয়। যদিও তিহাড় জেলের তরফে এ বিষয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। 

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে দিল্লি সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায় মোবাইল জ্যামার, এক্স-রে স্ক্যানার বসানোর কাজ চলছে। যদিও তারপরেও একাধিকবার তিহাড়ের ভিতরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের খবর মেলে। যা নিয়ে বাড়ে উদ্বেগ।