Indian Deep State: পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, চিনের বাড়বাড়ন্ত! প্রতিরোধে গোপন বাহিনী তৈরির পথে ভারত?
Pakistan-China: আমেরিকা, রাশিয়া তো বটেই, বর্তমানে চিন বা পাকিস্তানেরও রয়েছে এই 'ডিপ স্টেট'। 'ডিপ স্টেট'-এর একটি সুবিধা হল এদের কোনও কাজের দায় নিতে হয় না সরকারকে।

যুদ্ধ, সামরিক উত্তেজনা বা সীমান্তে গোপন অভিযানের সঙ্গে বাঙালি পরিচিত থাকলেও ডিপ স্টেট সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছুই জানে না সাধারণ মানুষ। দেশের বাইরে কোনও গোপন, অননুমোদিত নেটওয়ার্ক যা সরকার বা বিশেষ কারও হয়ে কাজ করে, তাকে ডিপ স্টেট বলা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতকে ঘিরে ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা যত বেড়েছে ততই নিজস্ব ‘ডিপ স্টেট’ তৈরির পক্ষে সওয়াল করেছেন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে কূটনীতিকরা। তাঁরা মনে করেছেন এই বিশেষ গোষ্ঠী ছাড়া ভারতের পক্ষে মহাশক্তিধর হয়ে ওঠা বেশ কঠিন।
আমেরিকা, রাশিয়া তো বটেই, বর্তমানে চিন বা পাকিস্তানেরও রয়েছে এই ‘ডিপ স্টেট’। ‘ডিপ স্টেট’-এর একটি সুবিধা হল এদের কোনও কাজের দায় নিতে হয় না সরকারকে। এ ছাড়াও সরকারের এই গুপ্ত বাহিনী দেশের বা বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত হয়ে নিজেদের পরিচয় দেশের শত্রুদের কাছে গোপন রেখে নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।
বিভিন্ন দেশের ‘ডিপ স্টেট’-এর মধ্যে মনে করা হয়ে থাকে আমেরিকার ‘ডিপ স্টেট’ সবচেয়ে শক্তিশালী। ইরাকে সাদ্দাম হোসেন থেকে লিবিয়ায় মুয়াম্মর গদ্দাফি, এদের ক্ষমতা থেকে সরাতে ‘ডিপ স্টেট’কেই ব্যবহার করেছিল ওয়াশিংটন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে ২০২৪ সালে ডেকে পাঠায় আমেরিকার এক আদালত। ভারতীয় ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ বা ‘র’এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল তারা। আর এখানেই ভারতের গতিবিধি কিছুটা হলেও কাঁপিয়ে দিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়াকে। ফলে ভারতের যে আদৌ কোনও ডিপ স্টেট নেই তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।
