Indian Special Forces: Para SF, NSG, MARCOS; ভারতের এই প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোকে চেনেন?
Para SF, NSG, MARCOS: ভারতীয় সেনার যে বিশেষ বাহিনীগুলোর উপর গোটা দেশ ভরসা করে, তার মধ্যে অন্যতম হল প্যারা এসএফ। এ ছাড়াও রয়েছে এনএসজি, কোবরা, মার্কোস বা গরুড়ের মতো বাহিনীও।

দেশের নিরাপত্তা, সীমান্তের সুরক্ষার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কিছু গোপন নাম, যাদের উপর ন্যাস্ত থাকে দেশের নিরাপত্তার ভার। অনেক ক্ষেত্রে তারা ভারতীয় সেনার অংশ, আবার কখনও সরাসরি রিপোর্ট করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। ভারতীয় সেনার যে বিশেষ বাহিনীগুলোর উপর গোটা দেশ ভরসা করে, তার মধ্যে অন্যতম হল প্যারা এসএফ। এ ছাড়াও রয়েছে এনএসজি, কোবরা, মার্কোস বা গরুড়ের মতো বাহিনীও।
প্যারা এসএফ
প্যারা এসএফ আসলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারাসুট রেজিমেন্টের অংশ। আর সেখান থেকেই এসেছে প্যারা শব্দটি। আর এসএফ মানে স্পেশাল ফোর্স। কাউন্টার-টেররিজম বা সরাসরি অ্যাকশনের জন্য এদের জুড়ি মেলা ভার।
এনএসজি
এনএসজি বা ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে আসে। কালো পোশাক পরিহিত এই কম্যান্ডোদের ভয় পায় যে কোনও দেশবিরোধী। ২০০১ সালের সংসদে আক্রমণ হোক বা ২৬/১১ মুম্বই হামলা, সব ক্ষেত্রেই দেশকে রক্ষা করেছে এই বাহিনী।
মার্কোস
জলে যুদ্ধের জন্য রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিশেষ কম্যান্ডো বাহিনী। তাদের মেরিন কম্যান্ডোস বা সংক্ষেপে মার্কোস বলে ডাকা হয়। জলের নীচে ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে এদের অ্যাকশন অন্যন্য। এদের ইউএস নেভি সিলসের সঙ্গেও তুলনা করা হয়ে থাকে।
গরুড়
ভারতীয় বায়ুসেনার নিজস্ব এলিট ফোর্স হল গরুড়। এয়ারফিল্ড সুরক্ষা থেকে শুরু করে বিশেষ অপারেশন, একাধিক ক্ষেত্রে এদের অ্যাকশন নিতে দেখা যায়। তাদের নীতিবাক্য হল ‘প্রহার সে সুরক্ষা’।
কোবরা
শুধু সীমান্তে নয়, দেশের অভ্যন্তরে যে বিপদ লুকিয়ে আছে, সেই সমস্যার মোকাবিলা করে কোবরা। পুরো কথা Commando Battalion for Resolute Action। তবে, কোবরা কিন্তু ভারতীয় সেনার অংশ ন। এটি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বা CRPF-এর অংশ। এদের প্রধান কাজ জঙ্গল ওয়ারফেয়ার। মাওবাদী বা নকশাল দমনে এদের দক্ষতা প্রশ্নাতীত।
এ ছাড়াও রয়েছে ঘাতক কম্যান্ডো। ঘাতক কম্যান্ডো কিন্তু কোনও স্পেশাল ফোর্স নয়। যদিও এই কম্যান্ডো বাহিনী স্পেশাল ফোর্সের মতোই ট্রেনিং পায়। তারা কোনও স্পেশাল ফোর্সের থেকে কম কিছু নয়। এ ছাড়াও ভারতের রয়েছে স্পেশ্যাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। এই বাহিনীতে শুধুমাত্র তিব্বতি ও গোর্খা ছাড়া আর কেউ যোগ দিতে পারে না। এ ছাড়াও এই বাহিনী দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং বা র-এর অধীনে কাজ করে। এরা সরাসরি দেশের ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটকে রিপোর্ট করে। আর এদের হাত ধরেই স্বাধীনতার পর থেকে একাধিক ঘটনা সত্ত্বেও এখনও এগিয়ে চলেছে দেশ।
