Mumbai Case: অক্ষয় কুমারের জনপ্রিয় সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত! ওয়েলনেস সেন্টারে ঢুকে ৭ জন যা করলেন…

mumbai police: মামলা রুজু হতেই ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওয়েলনেস সেন্টার যখন অভিযান চলছিল, তখন বাইরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন পাহারা দিচ্ছিল।

Mumbai Case: অক্ষয় কুমারের জনপ্রিয় সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত! ওয়েলনেস সেন্টারে ঢুকে ৭ জন যা করলেন...
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 1:53 PM

নয়া দিল্লি: এ যেন একেবারে হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য। দিল্লি, হরিয়ানা ও মধ্য প্রদেশ থেকে দুই মহিলা সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুয়ো মুম্বই পুলিশ আধিকারিক সেজে ধৃতরা দিল্লির একটি ওয়েলনেস সেন্টারে লুটপাট চালিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের বহুচর্চিত ছবি ‘স্পেশাল ২৬’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই লুটপাট চালিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই অপরাধের যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে নিজেদের মুম্বই পুলিশের (Mumbai Police) আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক মহিলা সহ ৪ জন ওই ওয়েলনেস সেন্টারে প্রবেশ করে। ওয়েলনেস সেন্টারের কর্মীদের তারা জানিয়েছিল, তল্লাশি অভিযান চালাতেই তার সেখানে এসেছে। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালানোর পর ওই ওয়েলনেস সেন্টার থেকে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় আততায়ীরা। ওয়েলনেস সেন্টারের মালিককে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেয় আততায়ীরা। বাধ্য হয়ে নিজের স্ত্রী’কে ফোন করেছিলেন ওই ব্যক্তি, আততায়ীর দলের সঙ্গে থাকা মহিলা ওই ব্যক্তির স্ত্রীয়ের থেকে ৫ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে। টাকার পাশাপাশি ল্যাপটপ, ১০টি মোবাইল ফোন ও ব্যাঙ্কের নথি হাতিয়ে নিয়েছিল আততায়ীরা।

মামলা রুজু হতেই ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওয়েলনেস সেন্টার যখন অভিযান চলছিল, তখন বাইরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন পাহারা দিচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বাইরে ঘুরলেও তাঁরা ওয়েলনেস সেন্টারে প্রবেশ করেনি। সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত একজনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার সময় সে নিজের অপরাধ স্বীকার এবং লুঠ হওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মুম্বই পুলিশের ভুয়ো আইডি কার্ড, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল। ধৃতকে জেরা করে বাকিদের সন্ধান পায় পুলিশে। এবং অপরাধের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।