Mobile Number Sharing: হাটে-বাজারে নিজের ফোন নম্বর শেয়ার করেন? সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Mobile Number Sharing: যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দোকানে ফোন নম্বর শেয়ার না করার পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সঙ্গে জানালেন ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০২২ কার্যকর হলে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার বন্ধ হবে।
নয়া দিল্লি: কোনও সঙ্গত কারণ ছাড়া দোকানদারদের ফোন নম্বর দিতে বারণ করলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০২২ (Digital Personal Data Protection Bill, 2022 ) আইনে পরিণত হলে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার বন্ধ হবে। কয়েকদিন আগেই মোবাইল নম্বরের অপব্যবহার সংক্রান্ত একটি টুইট ভাইরাল হয়েছিল। তারপরই এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে।
সম্প্রতি একজন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সমাজকর্মী দীনেশ ঠাকুর টুইটারে অভিযোগ করেছিলেন, দিল্লি বিমানবন্দরের ভিতরে একটি দোকানে আঠা কেনার সময় তাঁকে ফোন নম্বর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। দিল্লিতে বিমানবন্দরে একটি বই-খাতার দোকান থেকে এই আঠা কেনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। গত শনিবার দীনেশ টুইটারে জানিয়েছেন, তিনি বিমান বন্দরের ভিতরে একটি বুক স্টোরে আঠা কিনতে গিয়েছিলেন। বিলিং কাউন্টারে তাঁর কাছ থেকে ফোন নম্বর চাওয়া হয়। টুইটারে ঠাকুর লেখেন, “আমি জিজ্ঞাসা করি, কেন তাঁদের আমার ফোন নম্বর দরকার। আমাকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত বিষয়ের জন্য এই ফোন নম্বর নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি টুইটে জানিয়েছেন যে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, সামান্য আঠা কেনার জন্য ফোন নম্বর কেন দরকার। তিনি আরও বলেছেন, “ম্যানেজারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি, যদি আমাকে নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বিষয় উঠে থাকে তাহলে আমি কী করে দুটি সিকিউরিটি চেক-ইন পেরিয়ে এলাম? আমি তারপর আঠা না কিনেই বেরিয়ে আসি।” তিনি টুইটে আরও লেখেন, “আমি আরও অবাক হয়েছিলাম, এমন অনেক সহযাত্রী ছিলেন যারা কিছু না ভেবেই এই তথ্য প্রকাশ করছেন। কীভাবে আমরা এত অজ্ঞ এবং উদাসীন হতে পারি?” এবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীনেশ ঠাকুরের টুইট রিটুইট করে জানালেন, “যদি কোনও খুচরা বিক্রেতার কাছে এই বিষয়ে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ না থাকে তবে আপনার মোবাইল নম্বরটি দেবেন না। ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল পাশ হওয়ার পর ভারতীয়দের ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার বন্ধ হবে।”