AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ধোঁয়া দেখেই সতর্ক করা হয়েছিল, পাত্তা দেয়নি কর্মীরা, আগুন লাগতেই রোগীদের ফেলে পালিয়ে গেল! বিস্ফোরক রোগীর পরিবাররা

Rajasthan Hospital Fire: পিন্টু নামক আরেক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে আগুনে পুড়ে। তাঁর আত্মীয় দাবি করেছেন, রবিবার রাত ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ প্রথম নজরে আসে যে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপরই হাসপাতালের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়, কিন্তু তারা আমল করেননি।

ধোঁয়া দেখেই সতর্ক করা হয়েছিল, পাত্তা দেয়নি কর্মীরা, আগুন লাগতেই রোগীদের ফেলে পালিয়ে গেল! বিস্ফোরক রোগীর পরিবাররা
হাসপাতালে আগুন।Image Credit: PTI
| Updated on: Oct 06, 2025 | 12:27 PM
Share

জয়পুর: হাসপাতালের আইসিইউ-তে আগুন লেগে মৃত্যু ৮ রোগীর। রবিবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরের একটি সরকারি হাসপাতালে। একদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যেখানে দাবি যে তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছিলেন রোগীদের বাঁচানোর, সেখানেই রোগী পরিবারের দাবি, হাসপাতালের কর্মীরা আগুন দেখে পালিয়েছিলেন। তারাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের উদ্ধার করে এনেছেন।

জয়পুরের সাওয়াই মান সিং হাসপাতালে আগুন লাগে রবিবার রাতে। ট্রমা সেন্টারের আইসিইউ-তে আগুন লাগে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। নিমেষে কালো বিষাক্ত ধোঁয়া ভরে যায় আইসিইউ-তে। দম বন্ধ হয়েই ৮ রোগীর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের পরিবারের দাবি, তারাই কোনওমতে রোগীদের কোলে করে বা স্ট্রেচারে শুইয়ে নিয়ে এসেছেন। আইসিইউ-তে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো যায়।

পরিবারের আরও অভিযোগ, ৪টি আইসিইউ-তে মোট ৪০ জন রোগী ছিল, প্রতিটি আইসিইউ-তে একজন করে কর্মী ছিলেন। আগুন লাগার পরই তারা পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আগুন নেভার পর তারা যখন ভিতরে ঢোকেন, দেখেন, রোগীর দেহ পুড়ে বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছে।

এক ব্যক্তি, যার মা আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছেন, তিনি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আইসিইউ-তে আগুন লেগেছিল, কিন্তু আগুন নেভানোর জন্য কিছু ছিল না। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র তো দূর, জলও ছিল না আগুন নেভানোর জন্য। আমার মাকে বাঁচাতে পারিনি।”

পিন্টু নামক আরেক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে আগুনে পুড়ে। তাঁর আত্মীয় দাবি করেছেন, রবিবার রাত ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ প্রথম নজরে আসে যে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপরই হাসপাতালের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়, কিন্তু তারা আমল করেননি। তিনি বলেন, “আরও ধোঁয়া বাড়ছিল। আগুন বাড়তেই চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা, যারা নীচে ছিলেন, তারা পালিয়ে যান। ধোঁয়া এত বেড়ে গিয়েছিল যে আমরাও ভিতরে যেতে পারছিলাম না। তাও আমরা চার-পাঁচজনকে উদ্ধার করে আনতে পারি। আমার মাসির ছেলে আইসিইউ-তে ছিল। ও সুস্থ হয়ে উঠছিল, হয়তো দু-একদিনেই ডিসচার্জ হয়ে যেত।”

অগ্নিকাণ্ডের পরই মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী যোগরাম পটেল ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জওহর সিং হাসপাতালে যান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মৃতদের পরিবার অভিযোগ করেন যে হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে গিয়েছেন।