Terrorist Arrested: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য, জালে ১০ জইশ ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স’

Terrorist Arrested: এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "জঙ্গি সংগঠনের এমনভাবেই নিজেদের শাখাকে তৈরি করত যেখানে একজনের অন্য জনকে চেনার কোনও সুযোগ ছিল না।

Terrorist Arrested: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য, জালে ১০ জইশ 'ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স'
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2022 | 4:48 PM

শ্রীনগর: কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যে বিভিন্ন সংগঠন সক্রিয় সেই কথা এখন সকলেরই জানা। কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় নাশকতায় রাশ টানা গেলেও জঙ্গি সংগঠনগুলির সক্রিয়তা এখনও কমে। বুধবার জঙ্গি মোকাবিলায় বড়সড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১০ জন জঙ্গি সাহায্যকারীকে (Overground Workers) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার্সরা জঙ্গিদেরকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি তাদের অর্থ সাহায্য করে। তাদের হাত ধরেই যুবকদের ‘মগজধোলাই’ করে তাদের জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করার দায়িত্ব থাকে এদের ওপর। তাই নিঃসন্দেহে এই গ্রেফতার কাশ্মীর পুলিশের বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। বিবৃতিতে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে তাদের বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইএ ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এসআইএ রাতের অন্ধকারে দক্ষিণ ও মধ্য কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে বলেই জানা গিয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপ রোধে সম্প্রতি এসআইএ তৈরি করে কাশ্মীর পুলিশ। সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত যাবতীয় অপরাধের তদন্তের দায়িত্ব এসআইএর। এসআইএ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আটক ১০ জন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ‘স্লিপার সেল’ হিসেবে কাজ করছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা এনআই-র এক অভিযানের সময় তাদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। আটক জঙ্গি সাহায্যকারীরা পরস্পরকে চিনতেন না। জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ নেতৃত্ব সরাসরি তাদের নির্দেশ দিত বলেই জানা গিয়েছে।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “জঙ্গি সংগঠনের এমনভাবেই নিজেদের শাখাকে তৈরি করত যেখানে একজনের অন্য জনকে চেনার কোনও সুযোগ ছিল না। ফলে একজন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে কোনওভাবেই অন্যজনের নাম প্রকাশ্যে না আসে। জঙ্গি সংগঠন তাদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিত, তাঁরা যে জইশের সঙ্গে যুক্ত আদালতে পেশ করার জন্য কোনও প্রমাণই থাকত না।” কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের হয়ে অর্থ জোগাড়, নিয়োগ, অস্ত্রশস্ত্র পরিবহণ, এবং নাশকতার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করত। জঙ্গিদের গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ব্যাঙ্কের নথিপত্র, এবং নকল পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন জিনিস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Diabetes Risk Increasing in Children: সদ্য করোনামুক্ত হয়েছে বাড়ির খুদেরা? বাড়ছে মধুমেহে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা