Kanhaiya Kumar Joins Congress: রাহুলের ‘হাত’ ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া-জিগনেশ
Kanhaiya Kumar Joins Congress: বামপন্থী ঘরানা থেকে সোজা মধ্যপন্থায় এলেন কানহাইয়া। সেই সঙ্গে নতুন দল পেলেন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেশও।
নয়া দিল্লি: গত কয়েকদিন ধরে চলা জল্পনার অবশেষে অবসান। সমস্ত আশা-আশঙ্কাকেই সত্যি করে কংগ্রেসে যোগদান করলেন সিপিআই নেতা তথা জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি কানহাইয়া কুমার। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসকে সমর্থন নিঃশর্তে সমর্থন জানিয়েছেন আরও এক তরুণ তুর্কি নেতা তথা গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানি। এই দুজন যে ২৮ সেপ্টেম্বরই কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছেন তা একপ্রকার আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। তবে সকাল থেকে এই সংক্রান্ত কোনও খবর মেলেনি। বিকেল গড়াতেই চলে এল যোগদানের খবর। বামপন্থী ঘরানা থেকে সোজা মধ্যপন্থায় এলেন কানহাইয়া। সেই সঙ্গে নতুন দলকে সমর্থন জানালেন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেশও।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে এ দিন যোগ দেন কানহাইয়া। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যদিও সেই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন না রাহুল। তবে দিল্লিতে কংগ্রেসের কার্যালয়ে যোগদান পর্বের সময় রাহুল উপস্থিত ছিলেন বলে দেখা গিয়েছে ছবিতে।
২০১৯ সালে সিপিআই-এর টিকিটে বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন কানহাইয়া। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে জিততে পারেননি। অন্যদিকে, জিগনেশ ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বদগাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে এই দলিত নেতাকে কংগ্রেস নিজের প্রধান মুখ করে তুলতে পারে, এমন জল্পনা এখন থেকেই জন্ম নিতে শুরু করেছে। কানহাইয়াকেও একই ভাবে কাজে লাগানো হতে পারে বিহারের রাজনীতিতে।
এই যোগদানের পর কংগ্রেসের প্রতি যুব সমাজের নজর একটু হলেও ঘোরে কিনা সেটাই দেখার। যেভাবে কংগ্রেস ক্রমশ ঘরোয়া কোন্দল ও রাজ্যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কাড়াকাড়ি নিয়ে বিব্রত, সেই সময় কিছুটা হলেও তারুণ্যের অক্সিজেন পাবে কংগ্রেস। নির্বাচনে এর প্রভাব আদৌ পড়বে কিনা সেটা বুঝতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে প্রচার মাধ্যম্যে কংগ্রেসের প্রকাশ যে একটু হলেও বাড়বে, সেটা নির্দ্বিধায় বুঝছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কংগ্রেসের অন্দরে কানহাইয়া ও জিগনেশের কী ভূমিকা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জিগনেশকে গুজরাটে ও কানহাইয়াকে বিহারে বিরোধী মুখ করে তোলার প্রচেষ্টা যে চলবে সে কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্যের সংগঠনে দু’জনকে বড় পদও দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সময়ে গোটা দেশেও প্রয়োজন অনুসারে ঘুরে ঘুরে প্রচার এঁরা করবেন। সূত্র জানাচ্ছে, এই দুই যুব নেতাই ব্যক্তিগতভাবে রাহুল গান্ধীর বেশ পছন্দের। যদিও সিপিআইএম থেকে দল ভাঙিয়ে কানহাইয়া আনার কারণে রাহুলের সমালোচনা হচ্ছে কোনও কোনও মহলে।
আরও পড়ুন: Weather Live Update: শক্তি বাড়াল ঘূর্ণাবর্ত, বাংলার দুয়ারে নিম্নচাপ! অঝোর বৃষ্টি চলবে কতদিন?