চাকরি করেন না, তাও রোজ অফিসে আসছেন! কারণ জানলে চমকাবেন
Bizarre: অদ্ভুত এক সমস্যায় পড়েছে এক অফিস। সেখানে কর্মীরা তো ছুটি নিচ্ছেনই না, বরং যারা কাজ করেন না, তারাও অফিসে কর্মী সেজে চলে আসছেন! ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকা কর্মীরাও রোজ অফিসে আসছেন। তাও স্বেচ্ছায়।
তিরুবনন্তপুরম: মাঝে কয়েকদিন বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও, আবার চড়ছে পারদ। জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও। এই গরমে বাড়ি থেকে বের হতে চান না অনেকেই। কিন্তু পেটের দায় তো বড় দায়। তাই বাধ্য হয়েই রোদে তেতে-পুড়ে অফিসে যান সকলে। সুযোগ পেলেই ছুটিও নিয়ে নেন। কিন্তু অদ্ভুত এক সমস্যায় পড়েছে এক অফিস। সেখানে কর্মীরা তো ছুটি নিচ্ছেনই না, বরং যারা কাজ করেন না, তারাও অফিসে কর্মী সেজে চলে আসছেন!
এই অদ্ভুতুড়ে সমস্যায় পড়েছে কেরলের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। তাদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা থাকলেও, কর্মীরা স্বেচ্ছায় অফিসে আসছেন। কিন্তু কেন?
সবটাই অতিরিক্ত গরম ও তাপপ্রবাহের দৌলতে। দেশের বাকি রাজ্যগুলির মতো দক্ষিণী রাজ্যেও এবার প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তাপপ্রবাহে কর্মীরা যাতে অফিস আসতে গিয়ে অসুস্থ না হয়ে পড়েন, তার জন্য সপ্তাহে ৩-৪ দিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা চালু করেছিল ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। কিন্তু কর্মীরা বাড়ির বদলে অফিস থেকেই কাজ করতে চাইছেন।
আসলে বাড়িতে এত গরম, সেখানে থাকা দায়। সেই তুলনায় অফিসে এলে এসির ঠাণ্ডা হাওয়ায় আরামে কাজ করা যায়। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের খরচও হয় বেশি। এক ঢিলে দুই পাখি মারতে, অর্থাৎ বিদ্য়ুতের খরচ কমাতে ও এসির হাওয়ায় কাজ করতেই অফিস আসছেন কর্মীরা। বিশেষ করে যারা ভাড়া থাকেন বা পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকেন, তারা প্রতিদিন অফিস থেকেই কাজ করতে চাইছেন।
এমনও হয়েছে, যারা অফিসে চাকরি করেন না, তারাও নানা কাজের ফিরিস্তি, বাহানা করে অফিসে চলে আসছেন। এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন। কর্মীদের চাপ, তার উপরে বাইরের লোকজনের ঢুকে পড়া, সবে মিলে নাকানি-চোবানি অবস্থা অফিসের।