জয়পুর: একদিকে সমাজ যত এগোচ্ছে একই সঙ্গে সামাজিক অবক্ষয় ও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আগে নারী নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠত। কারণ আমাদের সমাজের অনেকই মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তের তাদের সম্মান ও সম্ভ্রম হরণ করতেই বেশি আগ্রহী ছিল। আকছাড়ই লালসার শিকার হতেন ৮ থেকে ৮০ সকল বয়সের মেয়েরা। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল, মেয়ে হওয়াটাই যেন পাপ। কিন্তু সভ্যতার যত অগ্রগতি হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষের প্রতিও বৃদ্ধি পেয়েছে অত্যাচার। কখনও নারী বা অন্য কোনও পুরুষের লালসা গ্রাস করছে পুরুষত্বকে। তবে কী এখন পুরুষদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন করার সময় এসে গিয়েছে? বলা কঠিন। তবে রাজস্থানের এক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমাদের সমাজে পুরুষ, নাবালকরাও নিরাপদ নয়। তবে হ্যাঁ প্রাপ্তি এটাই অভিযুক্ত ‘অন্ধ আইনের’ ধরা ছোঁয়ার বাইরে বেরোতে পারেনি।
এক নাবালককে যৌন নির্যাতনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড শোনাল আদালত। আজমেরের বিশেষ পকসো আদালত অভিযুক্তকে এই শাস্তির নিদান দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত রাধাকিষণ ওরফে বাবু ভাই নামের ওই ব্যক্তিতে গতবছর তাঁর করা এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
আজমেঢ় রেঞ্জের পুলিশের আইজি এস সেনগাথির এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত বছর নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখ নিগৃহীন নাবালককেক বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ অনুযায়ী বাবু ভাই নামের ওই ব্যক্তি নাবালককে ফ্যাক্টরির একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই নাবালকের বাবার অভিয়োগের ভিত্তিতেই পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। তারপরই তদন্ত করে আদালতের কাছে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।