Omicron Variant: ‘ওমিক্রন’ আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে দেশে! আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৫ জনের নমুনায় মিলল ভাইরাস

Omicron Variant: এখনও পর্যন্ত ২ জন করোনা আক্রান্তের শরীরে ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।

Omicron Variant: 'ওমিক্রন' আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে দেশে! আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৫ জনের নমুনায় মিলল ভাইরাস
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যে। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2021 | 8:23 PM

বেঙ্গালুরু : ভারতে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, তখন অনেক জায়গাতেই প্রস্তুতি ছিল না। বিপদ যে এ ভাবে থাবা বসাবে, তা হয়ত অনুমান করতে পারেননি অনেকেই। তাই ওমিক্রনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সতর্ক হয়েছে কেন্দ্র। ওমিক্রন রুখতে কী কৌশল নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে দফায় দফায় বসেছে বৈঠক। তারপরও ভারতে প্রবেশ করল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কর্ণাটকে দুই করোনা আক্রান্তের নমুনায় মিলেছে ওমিক্রন। সেই ঘোষণার পরই কর্ণাটক সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুজনের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে আসা পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাঁদের নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যে দুজনের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে, তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৪৬। বেঙ্গালুরুর ওই চিকিৎসকের টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি সম্প্রতি বিদেশ যাত্রাও করেননি। গত মাসে তাঁর জ্বর আসে ও গায়ে ব্যাথা অনুভূত হয়। এরপরই তিনি নমুনা পরীক্ষা করান। গত ২১ নভেম্বর তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দিনই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং- এর জন্য পাঠানো হয়। তিন দিন পরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কারা কারা ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছেন, তা খতিয়ে দেখা হয় কর্ণাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। ১৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়, যাঁরা সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন। এ ছাড়া পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ২৫০ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তবে দ্বিতীয় আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ২৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা সূত্রে খবর, দ্বিতীয় ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি ভারতের নাগরিক নন। চলতি মাসের ২০ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন ওই ব্যক্তি। তাঁর করোনা টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া ছিল। এরপরেই  তিনি একটি হোটেলে যান। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সরকারি চিকিৎসক হোটেলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করেন। করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁকে হোটেলের ঘরে নিভৃতবাসের পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

দক্ষিণ আফ্রিকাতেই যেহেতু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম হদিশ পাওয়া গিয়েছিল, তাই জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের জন্য ২২ নভেম্বর পুনরায় তাঁর নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠান হয়। মোট ২৪ জন ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, প্রত্যেকেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসা ২৪০ জন ব্যক্তিরও করোনা পরীক্ষা করে পুরসভা। তাদের সকলের পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ আসে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৩ নভেম্বর ওই ব্যক্তি আরও একবার করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে। এরপরই ২৭ নভেম্বর তিনি হোটেল ছেড়ে চলে যান। বিমানে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

কিছুদিন আগেই করোনার ওই ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’কে উদ্বেগের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশ্বের যে সব দেশে এখনও পর্যন্ত ‘ওমিক্রন’-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেই দেশগুলিকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই ভ্যারিয়েন্টের অভিযোজন ক্ষমতা এত বেশি যে, তার সংক্রমণ ক্ষমতাও অনেক বেশি।

আরও পড়ুন :  Kedarnarth Temple: দেবভূমির ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কেদারনাথ মন্দির, পিছনে লুকিয়ে অনেক কারণ