Manipur: রাতভর গোলাগুলিতে নিহত ১ জওয়ান, আহত আরও ২, মণিপুরে হিংসা অব্যাহত

Manipur Violence: মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোরে, মণিপুরে সেরোতে বিদ্রোহীদের একটি দলের সঙ্গে সংঘর্ষে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অসম রাইফেলস-এর দুই কর্মীও।

Manipur: রাতভর গোলাগুলিতে নিহত ১ জওয়ান, আহত আরও ২, মণিপুরে হিংসা অব্যাহত
মণিপুরের বিভিন্ন অংশে চলছে ব্যাপক 'এরিয়া ডমিনেশন' অভিযান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2023 | 12:39 PM

ইম্ফল: মণিপুরে (Manipur Violence) হিংসা অব্যাহত। মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোরে, বিদ্রোহীদের একটি দলের সঙ্গে সংঘর্ষে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অসম রাইফেলস-এর (Assam Rifles) দুই কর্মীও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের সেরোতে। আহত অসম রাইফেলস কর্মীদের বিমানে মান্ত্রিপুখরিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্তারা। স্পিয়ার কর্পস-এর বিবৃতিতে অনুসারে, সোমবার রাতে, সুগনু-সেরউ অঞ্চলে ‘এরিয়া ডমিনেশন’ অভিযানে গিয়েছিল অসম রাইফেলস, বিএসএফ এবং মণিপুর পুলিশের যৌথ বাহিনী। অভিযানের এক পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের একটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোটা রাত জুড়ে দফায় দফায় গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে। তবে, শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে পিছু হঠতে বাধ্য হয় বিদ্রোহীরা।

গত ৩ মে থেকে দফায় দফায় ব্যাপক হিংসার সাক্ষী হয়েছে মণিপুর। রাজ্যের সংখ্যাগরীষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবির প্রতিবাদে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন আয়োজিত এক সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই হিংসার সূত্রপাত হয়েছিল। বর্তমানে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে অসম রাইফেলস, সিএপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে মণিপুরে বিভিন্ন অংশে ‘এরিয়া ডমিনেশন’ অভিযান শুরু করেছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। ড্রোন এবং কোয়াডকপ্টার দিয়ে আকাশপথেও নজরদারি চলছে। এখনও পর্যন্ত ৪০টি স্বয়ংক্রিয় বন্দুক, মর্টার, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, মণিপুরে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) দুপুর ৩টে পর্যন্ত পর্যন্ত মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সোমবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশিকা জারি করেছে মণিপুর সরকার। ৫ জুন থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সোমবার ফের রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয় এবং তার জেরেই ইন্টারনেট নিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ৩ মে থেকে রাজ্যে এই সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। ৩৫,০০০ মানুষ ভিটেছাড়া। অপরদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৩০ জনেরও বেশি জঙ্গিও। বারবার করে রাজ্যের মানুষের কাছে শান্তি ফেরানোর আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বহু বিদ্রোহী অস্ত্র সমর্পণও করেছে। মণিপুরের লাইফলাইন জাতীয় সড়ক ২ থেকে উঠে গিয়েছে অবরোধও। কিন্তু, তারপরও বিক্ষিপ্ত অশান্তি লেগেই রয়েছে। কতদিনে এই হিংসার সম্পূর্ণ অবসান ঘটে, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।