Manipur Violence: দফায় দফায় অশান্তি, জ্বলছে আগুন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক’, জানাল সেনা

Manipur: পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, সুরক্ষাবশত মণিপুরে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী আনা হচ্ছে। নাগাল্যান্ড থেকেও অতিরিক্ত বাহিনী আনানো হচ্ছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে বায়ুসেনাও নামানো হতে পারে।

Manipur Violence: দফায় দফায় অশান্তি, জ্বলছে আগুন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক', জানাল সেনা
মণিপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2023 | 6:52 AM

ইম্ফল: রাস্তাঘাটে জ্বলছে আগুন। ঘরে দরজা বন্ধ করে ভয়ে কাঁপছে সাধারণ মানুষ। বুধবার থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে (Manipur)।  মেইতি (Meitei) সম্প্রদায়কে তফসিলি জাতিভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছে অশান্তির আগুন। বিক্ষোভ, ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনার পরই বৃহস্পতিবার মণিপুর সরকারের তরফে আটটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে কার্ফু (Curfew) ঘোষণা করা হয়। আগামী পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও (Internet Service Suspended)। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নামানো হয়েছে সেনা বাহিনী ও অসম রাইফেলসের বাহিনী। গতকাল দিনভর রাজ্যজুড়ে টহল দেয় সেনাবাহিনী। জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির খবর মিললেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইম্ফল ও চুরাচন্দ্রপুরের পরিস্থিতি যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হয়, তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মণিপুরের যে জেলাগুলিতে সবথেকে বেশি অশান্তি ছড়িয়েছে, সেগুলি হল চুরাচন্দ্রপুর, বিষ্ণুুপুর, মোরে ও কাঙ্গপোকপি। বুধবার এই জেলাগুলিতে দফায় দফায় অশান্তি ছড়ায়। এরপরই সেনা নামানো হয়। প্রায় ৯ হাজার সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প ও সরকারি অফিসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে সেনা বাহিনীর তরফে।

সূত্রের খবর, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, সুরক্ষাবশত মণিপুরে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী আনা হচ্ছে। নাগাল্যান্ড থেকেও অতিরিক্ত বাহিনী আনানো হচ্ছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে বায়ুসেনাও নামানো হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতেই অসমে সেনার অতিরিক্ত বাহিনী বায়ুসেনার বিমানে এসে পৌঁছয়।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার মণিপুরের মেইতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংরক্ষণ নিয়ে সংঘাত বাধে। আদিবাসী ঐক্য মিছিল ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকারের তরফে সেনা বাহিনী ও অসম রাইফেলসের বাহিনী নামানো হয়। জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে মোট ৪৫ কলাম সেনা ও অসম রাইফেলসের বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আরও ১৪ কোম্পানি স্টান্ডবাই রাখা হয়েছে। 

মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পরই রাজ্য়পাল শর্ত সাপেক্ষে “শ্য়ুট অ্যাট সাইট” বা দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, এই নির্দেশের পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি টুইট করে বলেন, “এখন রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ও ভোট থাকবেই, কিন্তু সবার আগে মণিপুরকে রক্ষা করতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর্জি জানাচ্ছি যে আগে মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন। মণিপুরের ভাই-বোনেদের কাছেও আর্জি শান্তি ও সৌভাতৃত্ব বজায় রাখুন।”