Kidney Failure: ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে খেলেন কাঁচা রুই মাছ, কিডনির অসুখে আক্রান্ত মহিলা

অনেকেরই বিশ্বাস, কাঁচা মাছের বিভিন্ন দেহাংশ খেলে ডায়াবেটিস অ্যাজমা, আর্থাইটিস এবং দৃষ্টিশক্তি রোগের উপশম হয়। কিন্তু, কাঁচা মাছের দেহাংশ বিশেষ এই জীবনের ঝুঁকি ডেকে আনে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

Kidney Failure: ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে খেলেন কাঁচা রুই মাছ, কিডনির অসুখে আক্রান্ত মহিলা
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2023 | 12:03 AM

নয়া দিল্লি: ডায়াবেটিসের (Diabetes) হাত থেকে রক্ষা পেতে চেয়েছিলেন। সেজন্য কাঁচা রুই মাছের (Ruhu Fish) গলব্লাডার খেয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ৪৮ বছর বয়সী মহিলা। একদিন নয়, পরপর টানা তিন দিন কাঁচা রুই মাছ খেয়েছিলেন তিনি। ভাবতে পারেননি এর থেকে হিতে বিপরীত হবে! ডায়াবেটিস সারাতে গিয়ে কিডনির রোগে আক্রান্ত হলেন ওই মহিলা।

জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি ওই মহিলার নাম শ্বেতা দেবী। গত সপ্তাহের বুধবার তিনি জ্বর-সর্দি এবং বমি উপসর্গ নিয়ে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তাঁর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবিলম্বে হিমো ডায়ালিসিস করা জরুরি। তারপর এক সপ্তাহে দুটো হিমোডায়ালিসিস হয় তাঁর।

কোনও খাবার থেকেই যে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা শ্বেতা দেবীকে পরীক্ষা করেই বুঝতে পেরেছিলেন চিকিৎসকেরা। শ্বেতা দেবীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই ডায়াবেটিস সারাতে রুই মাছের কাঁচা গলব্লাডার খেয়েছিলেন তিনি। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এভাবে কাঁচা মাছ খেলে প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান, চিকিৎসক এ.কে ভাল্লা।

তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হওয়ায় আপাতত শ্বেতা দেবীর কিডনি স্বাভাবিকের পথে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এক সপ্তাহে ধরে ইতিমধ্যে দু-বার তাঁর ডায়ালিসিস হয়েছে। এবার তাঁর কিডনি স্বাভাবিক কাজ করতে শুরু করেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

তবে কাঁচা মাছ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই এখনও পর্যন্ত রুই, কাতলা মাছ কাঁচা খাওয়া হয়। অনেকেরই বিশ্বাস, কাঁচা মাছের বিভিন্ন দেহাংশ খেলে ডায়াবেটিস অ্যাজমা, আর্থাইটিস এবং দৃষ্টিশক্তি রোগের উপশম হয়। কিন্তু, কাঁচা মাছের দেহাংশ বিশেষ এই জীবনের ঝুঁকি ডেকে আনে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক এ.কে ভাল্লা জানিয়েছেন।