Delhi-Kolkata Highway Jam: দিল্লি-কলকাতা হাইওয়েতে ৪ দিন ধরে জ্যাম, পচছে মাছ, বিস্কুট খেয়ে টিকে রয়েছেন ট্রাক চালকরা
Traffic Jam: অভিযোগ, এই বিশাল যানজট কাটানো নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথারিটি অব ইন্ডিয়া বা রোড কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলি এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এদিকে চরম বিপাকে পড়েছেন ট্রাকচালক, গাড়ি চালকরা।

নয়া দিল্লি: রাস্তা জুড়ে গাড়ির লম্বা লাইন। যে দিকে তাকাবেন, সেখানেই শুধু ট্রাক। এই জ্যাম কোথায় শেষ হচ্ছে, কেউ জানে না। কয়েকশো গাড়ি-ট্রাক আটকে রয়েছে দিল্লি-কলকাতা হাইওয়েতে। তাও আবার বিগত ৪ দিন ধরে। এই যানজট কবে কাটবে, তার উত্তরও কারোর কাছে নেই।
কেন এত যানজট?
বিহারের রোহতাসে ভারী বৃষ্টি হয়েছিল শুক্রবার। এরপরই ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের রাস্তা, সার্ভিস লেন ও ডাইভারশনগুলি ভেসে যায়। রাস্তায় বেরিয়ে আসে বড় বড় গর্ত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকে থাকে ট্রাকগুলি। মাত্র কয়েক কিলোমিটার পার করতেই অনেক ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। এতটাই যানজট পেকেছে যে হাইওয়ের জ্যাম ঔরঙ্গাবাদ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, যা রোহতাস থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে।
ఢిల్లీ కలకత్తా హైవే పై 65 కిలోమీటర్ల మేర ట్రాఫిక్ జామ్ అధికారులకు సమన్వయ లోపంతో నాలుగు రోజులుగా నిలిచిపోయిన వాహనాలు రోడ్డుపైనే తిండి తిప్ప లేక ఇబ్బంది పడుతున్న వాహనదారులు pic.twitter.com/AQwx5u4gMa
— Kumar Reddy.Avula (@Kumar991957) October 8, 2025
অভিযোগ, এই বিশাল যানজট কাটানো নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথারিটি অব ইন্ডিয়া বা রোড কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলি এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এদিকে চরম বিপাকে পড়েছেন ট্রাকচালক, গাড়ি চালকরা। তারা শুধু চা-বিস্কুট খেয়ে রয়েছেন।
ট্রাক চালকরা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পার করতে পেরেছেন। প্রবীণ সিং নামক এক ট্রাক চালক বলেন, “৩০ ঘণ্টায় আমরা ৭ কিলোমিটার পথ পেরতে পেরেছি। টোল, রোড ট্যাক্স ও অন্যান্য খরচ দেওয়ার পরও আমরা এত যানজটের মুখে পড়ছি। স্থানীয় প্রশাসন বা হাইওয়ের আধিকারিক-কাউকেই দেখা যাচ্ছে না।”
আরেক ট্রাক চালক সঞ্জয় সিং বলেন, “দুইদিন ধরে জ্যামে আটকে রয়েছি। আমরা ক্ষুধার্ত। জল নেই আমাদের কাছে। খুব খারাপ অবস্থা। কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পেরতেই অনেক ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।”
ফল, মাছের মতো খাদ্যপণ্য যারা নিয়ে যাচ্ছেন, তারা আরও সমস্যায় পড়েছেন। ইতিমধ্যেই অনেক জিনিস পচতে শুরু করেছে। চিন্তায় ট্রাক চালকরা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়েছে।
