Morbi Bridge Collapse: দুর্ঘটনার দিন তিন হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল, সামনে এল ফরেন্সিক রিপোর্ট

Forensic Report: মোরবির এই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল ব্রিশিট আমলে। ৩০ অক্টোবর সেই ব্রিজেই দুর্ঘটনার জেরে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়।

Morbi Bridge Collapse: দুর্ঘটনার দিন তিন হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল, সামনে এল ফরেন্সিক রিপোর্ট
মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার পরে উদ্ধারকাজের ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2022 | 3:45 PM

মোরবি: গুজরাতের মোরবি ব্রিজে দুর্ঘটনা কেড়েছিল প্রায় ১৪০ জনের প্রাণ। ৩০ অক্টোবর ঘটা সেই দুর্ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট এ বার প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে ৩০ অক্টোবর দুর্ঘটনার দিন ৩ হাজার ১৬৫ টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। ওই ফরেন্সিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্রিজের তারগুলিতে মরচে পড়ে গিয়েছিল। এবং ব্রিজের অ্যাঙ্কর ভাঙা ছিল। এই ফরেন্সিক রিপোর্ট জেলা আদালতে জমা দিয়েছেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, এই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল ১০০ বছরও আগে। কিন্তু বর্তমানে এর ভার বহন ক্ষমতা কতটা কখনও যাচাই করা হয়নি। এই ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশের জেরে স্ক্যানারে নীচে এসেছে ওরেভা গ্রুপের ভূমিকা। ওই সংস্থা এই ব্রিজের নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল।

মোরবির এই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল ব্রিশিট আমলে। ৩০ অক্টোবর সেই ব্রিজেই দুর্ঘটনার জেরে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। ব্রিজ ভেঙে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে গণহত্যা তুল্য অপরাধের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট সামনে আসতেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের জেরেই যে এই দুর্ঘটনা এবং বিপুল প্রাণহানি তা এক প্রকার স্পষ্ট হয়েছে।

ফরেন্সিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিজের অ্যাঙ্করের সঙ্গে যে বোল্টের মাধ্যমে কেবলগুলি লাগানো থাকে, তা আলগা ছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, ওই ব্রিজের মেঝের অংশ পরে নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিজের তারগুলি পুরনো ছিল। সেই পুরনো তারের পক্ষে অতিরিক্ত ভার নেওয়া সম্ভবপর ছিল না। তদন্তে এই বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি এই ব্রিজ ভাঙা নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় মোরবি পুর কর্তৃপক্ষ গুজরাত হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, যে সংস্থা দায়িত্বে ছিল, তাঁরা পুরসভার অনুমতি নেওয়ার আগেই খুলে দিয়েছিল ব্রিজটি। বিষয়টি নিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে আরও কারণ এবং কাদের গাফিলতি তা সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।