Mumbai COVID-19 Cases: এক মাসেরও কম সময়েই সংক্রমণে ১০০০ শতাংশ বৃদ্ধি! চতুর্থ ঢেউ কি তবে সময়ের অপেক্ষা?

Mumbai COVID-19 Cases: শনিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯২২জন। এরমধ্যে কেবল মুম্বই থেকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৪৫। অর্থাৎ রাজ্যের মোট সংক্রমণের ৫৯ শতাংশই মুম্বই থেকে খোঁজ মিলছে।

Mumbai COVID-19 Cases: এক মাসেরও কম সময়েই সংক্রমণে ১০০০ শতাংশ বৃদ্ধি! চতুর্থ ঢেউ কি তবে সময়ের অপেক্ষা?
মুম্বইয়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 8:10 AM

মুম্বই: দেশে ফের একবার লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো একাধিক রাজ্য। আগামিদিনে ফের করোনার নতুন ঢেউ আছড়ে পড়বে কি না, তার উদ্বেগের মাঝেই আরও চিন্তা বাড়াল বিশেষজ্ঞদের একটি তথ্য। বিগত এক মাসে মহারাষ্ট্র, বিশেষ করে মুম্বইয়ে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। জানা গিয়েছে, গত ১৭ মে থেকে এখনও অবধি ১০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই কারণেই ফের একবার মনে করা হচ্ছে যে বাণিজ্যনগরীতেই করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ মে মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫৮ জন। সেই সময় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৩২। এরপর থেকেই হু হু করে বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত ও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। শনিবারই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করে। অর্থাৎ এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।

স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ১৭ মে থেকে ১১ জুন অবধি বাণিজ্যনগরীতে ১৭ হাজার করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ডাবলিং রেট, অর্থাৎ কতদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়, তাও ৫৪৪৯ দিন থেকে কমে ৫৬১ দিনে নেমে এসেছে।

শনিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯২২জন। এরমধ্যে কেবল মুম্বই থেকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৪৫। অর্থাৎ রাজ্যের মোট সংক্রমণের ৫৯ শতাংশই মুম্বই থেকে খোঁজ মিলছে। দেশের সংক্রমণের এক পঞ্চমাংশই মুম্বইয়ের আক্রান্ত রোগী।

ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার দেখে ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে আন্দাজ করা হচ্ছে, যে কোনও সময়েই আছড়ে পড়তে পারে। সংক্রমণ রুখতে বৃহ্ণমুম্বই প্রশাসনের তরফে সমস্ত নাগরিককে মাস্ক পরা ও যাবতীয় করোনাবিধি অনুসরণ করে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমস্ত ল্যাবরটরি ও হাসপাতালেও করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।