Crime News: সারা শরীরে সিগারেটের ছ্য়াঁকা, গোপনাঙ্গে আঘাত! ৪ দিন ধরে অন্ধকার ঘরে বন্দি নাবালিকা পরিচারিকা

Torture: এক প্রতিবেশী জানান, অভিযুক্ত ওই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের বিল মেটায়নি, ফলে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। চারদিন ধরে বদ্ধ ঘরে অন্ধকারেই কাটাচ্ছিল ওই কিশোরী। খাবার বলতে ছিল এক প্যাকেট পাউরুটি।

Crime News: সারা শরীরে সিগারেটের ছ্য়াঁকা, গোপনাঙ্গে আঘাত! ৪ দিন ধরে অন্ধকার ঘরে বন্দি নাবালিকা পরিচারিকা
নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার ১।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2023 | 6:57 AM

নাগপুর: সারা শরীরে সিগারেটের (Cigarettes) ছ্য়াঁকা। চারদিন ধরে অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল নাবালিকাকে। প্রতিবেশীরা দেখতে পান, বাড়ির জানালা থেকে বেরনোর চেষ্টা করছে ওই কিশোরী। তাঁরাই দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন ওই কিশোরীকে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুরে। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা বাড়িতে পরিচারিকার (Domestic Help) কাজ করত। ওই পরিবারই তাঁর উপরে অত্যাচার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের নাগপুরের অথর্ব নগরী সোস্যাইটির একটি পরিবার বেঙ্গালুরু থেকে ১২ বছরের কিশোরীকে নিয়ে আসে বাড়ির কাজ করানোর জন্য। পান থেকে চুন খসলেই তাঁর উপরে অত্যাচার করত ওই পরিবার। কখনও গরম প্যান দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হত, কখনও আবার সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হত শরীর। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সারা শরীরে পোড়া দাগ ছাড়াও গোপনাঙ্গে আঘাত রয়েছে।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পরিবার বেঙ্গালুরু গিয়েছিল। পরিচারিকা কিশোরীকে তাঁরা বাড়ির একটি ঘরে আটকে রেখে যান। চার দিন ধরে ওইভাবেই বন্দি ছিল নাবালিকা। শনিবার এক প্রতিবেশী কিশোরীর সাহায্যের জন্য আর্তি শুনতে পান। চিৎকার শুনে উঁকিঝুঁকি দিলে দেখতে পান যে কিশোরী জানালা ভেঙে বেরোনোর চেষ্টা করছে। এরপরই তারা গিয়ে দরজা ভেঙে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। খাবার ও জল দেন ওই নাবালিকাকে। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পর গোটা ঘটনা খুলে বলতেই প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন।

এক প্রতিবেশী জানান, অভিযুক্ত ওই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের বিল মেটায়নি, ফলে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। চারদিন ধরে বদ্ধ ঘরে অন্ধকারেই কাটাচ্ছিল ওই কিশোরী। খাবার বলতে ছিল এক প্যাকেট পাউরুটি।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পরিবার কিশোরীকে বেঙ্গালুরু থেকে নাগপুরে নিয়ে আসার সময় তাঁর পরিবারকে আশস্ত করেছিল যে এখানে এনে কিশোরীর লেখাপড়ার ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। তাঁকে দেখভালের যাবতীয় দায়িত্ব তাদের। কিন্তু নাগুপুরে আসতেই উল্টো ঘটনা ঘটে। কিশোরীকে দিয়ে বাড়ির সমস্ত কাজ করানো হত। চলত শারীরিক নির্যাতনও। তদন্ত শুরু করতেই ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে।