AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Morbi Bridge Collapsed: স্রোত নেই নদীতে, মাচ্ছু নদীর পাথরে ভরা তলদেশই কি প্রাণ কাড়ল শতাধিক মানুষের?

NDRF on Morbi Bridge Collapse: জানা গিয়েছে, এখনও অবধি কমপক্ষে ১৪১ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও বহু মানুষের দেহ নদীর নীচে কাদাতে আটকে রয়েছে বলে মনে করা  হচ্ছে।

Morbi Bridge Collapsed: স্রোত নেই নদীতে, মাচ্ছু নদীর পাথরে ভরা তলদেশই কি প্রাণ কাড়ল শতাধিক মানুষের?
মরবির সেতু ছিড়ে পড়ার পরের মুহূর্ত।
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 6:08 AM
Share

আহমেদাবাদ: গুজরাটের মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনের। সেতুর দড়ি ছিড়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু কীভাবে একসঙ্গে এতজনের মৃত্যু হল, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্তও। মোরবির এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান। রবিবারের বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে তিনি নদীর নিম্ন জলস্তর ও পাথরকেও দায়ী করলেন।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কম্যান্ডান্ট ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানান, গুজরাটের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর উপরে অবস্থিত ওই শতাব্দী প্রাচীন সেতুর কেবল বা দড়ি ছিড়েই শতাধিক মানুষ জলে পড়ে যান। তবে সাধারণত নদীতে ছিটকে পড়লে অধিকাংশ মানুষই জলের তোড়ে ভেসে যায়। এক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটেনি, কারণ মাচ্ছু নদীর জলস্তর খুবই কম। মাত্র ১০ ফিট, যা একটি ছোট গাড়ির উচ্চতার সমান, সেই গভীরতা ছিল নদীর। এছাড়া নদীর তলদেশে প্রচুর পরিমাণে পাথর থাকার কারণেও নদীতে পড়া ব্যক্তিরা গুরুতর আহত হন এবং মারা যান।

তিনি আরও জানান, মাচ্ছু নদীর ঠিক মাঝখানে জলের কোনও স্রোত নেই। নদীর গভীরতা প্রায় ২০ ফিট। যারা দুর্ঘটনার সময় মোরবির ওই সেতুতে ছিলেন, তারা কেবল ছিড়ে যাওয়া মাত্রই হুড়মুড়িয়ে নদীতে পড়ে যান। নদীতে জলস্রোত না থাকায়, প্রায় কেউই ভেসে যাননি। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে নদীর বোল্ডারে আঘাত লেগে বা জলে ডুবে।

জানা গিয়েছে, এখনও অবধি কমপক্ষে ১৪১ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও বহু মানুষের দেহ নদীর নীচে কাদাতে আটকে রয়েছে বলে মনে করা  হচ্ছে। সেই সমস্ত দেহ উদ্ধারের জন্য এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। নদীর নাব্যতা কম থাকার কারণে ভারতীয় নৌসেনার তরফে নামানো ডুবুরিদেরও উদ্ধারকাজে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। প্রশাসনের তরফে সেতু বিপর্যয়ে নিখোঁজ, মৃত ও আহতদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী আরও কয়েকজনের দেহ এখনও উদ্ধার হওয়া বাকি।

দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শোকপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল তিনি মোরবির হাসপাতালে যান আহতদের সঙ্গে দেখা করতে। উদ্ধারকাজ কতদূর এগিয়েছে, কেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তাও খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।