Class Exam: দ্বিতীয় শ্রেণি অবধি কোনও পরীক্ষা নয়, শিশুদের উপর ‘অযথা চাপ’ কমাতে প্রস্তাব
NCF draft: পড়াশোনার সিলেবাস সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করা এই কমিটি সম্প্রতি একটি ড্রাফ্ট বানিয়েছে। সেখানেই প্রাথমিক শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে।
নয়াদিল্লি: পরীক্ষা বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ। নার্সারি, প্রাথমিক শ্রেণির বাচ্চাদেরও বসতে হয় পরীক্ষায়। এই পরীক্ষা শিশু মনে অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে বলে মত ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এনসিএফ)-এর। পড়াশোনার সিলেবাস সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করা এই কমিটি সম্প্রতি একটি ড্রাফ্ট বানিয়েছে। সেখানেই প্রাথমিক শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণি অবধি পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই। এই ক্লাস টেস্ট ও পরীক্ষা বাচ্চাদের মনে অথযা বোঝা হিসাবে চেপে বসে বলে মত এনসিএফের। কেবলমাত্র এই পরীক্ষার মাধ্যমে এক শিশুদের শিক্ষার মূল্যায়ন সম্ভব নয় বলেও মত ওই কমিটির। তাদের জমা দেওয়া ড্রাফ্টে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পরীক্ষা চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এনসিএফের জমা দেওয়া ড্রাফ্টে লেখা হয়েছে, “শিশুদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষার বৈচিত্রের দিকটি থাকা উচিত। শিশুরা বিভিন্ন ভাবে শেখে এবং তাদের প্রকাশের ভঙ্গিও ভিন্ন রকমের হয়। শ্রেণিতে যে শিক্ষা তারা পায়, তাও এক শিশু এক এক রকম ভাবে গ্রহণ করে। কতটা শিখেছে তা বোঝানোর উপায়ও শিশুভেদে পরিবর্তিত হয়। সে জন্য একটি মাত্র মূল্যয়ন পদ্ধতি দিয়ে তা করা যথোপযুক্ত নয়।”
ওই ড্রাফ্টে লিখিত পরীক্ষার বদলে দ্বিতীয় শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের মূল্যয়ন পদ্ধতি কী হতে পারে, তা নিয়েও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “রেকর্ডিং এবং ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে মূল্যায়ন হওয়া উচিত। বাচ্চার উন্নতি বর্ণনা পদ্ধতিগত ভাবে তথ্য সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এবং এই মূল্যায়ন পদ্ধতি যাতে বাচ্চার উপর কোনও অতিরিক্ত বোঝা না চাপায় সে দিকেও নজর রাখতে হবে। মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হতে হবে যা শিশু স্বাভাবিক ভাবেই তাতে অংশ নিতে পারে।”
ওই ড্রাফ্টে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। তবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ধারণা তৈরির বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ড্রাফ্টে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি কম্প্রিহেনসিভ ক্লাসরুম মূল্যায়নের বিষয়ে জোকর দিতে বলা হয়েছে।