Abhijit B. Banerjee on Centre: ছাত্রছাত্রীদের জন্য টিভি চ্যানেল, কেন্দ্রের উদ্যোগের প্রশংসা নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের
Education System: সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনা মহামারির সময় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলি বন্ধ থাকার ফলে পড়ুয়ারা যে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তা করোনা পরবর্তী সময়ে ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
কলকাতা: করোনা কালে ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের শিক্ষাক্ষেত্র সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল। ধাপে ধাপে কখনও বিভিন্ন রাজ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও স্কুল কলেজ বন্ধের পথেই হাঁটতে হয়েছিল প্রশাসনকে। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে পেশের সময় ছাত্রছাত্রীদের পৃথক টিভি চ্যানেলের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানানো হয়েছিল প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ২০০ টি নতুন টিভি চ্যালেন চালু করা হবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তেরই প্রশংসা করলেন দেশের নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে টিভি চ্যানেলের ব্যবহার যে ইতিবাচক ভূমিকা নেয় তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের লিভার ফাউন্ডেশন এবং প্রথম নামক একটি সংস্থা স্কুল শিক্ষার ওপর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্যওয়াড়ি সমীক্ষা করেছিল। সেই সমীক্ষা রিপোর্টই আজ প্রকাশিত হয়েছে।
রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ম্যাসাচুসেটের অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “আমি মনে করি না ২০০ টি টিভি চ্যানেল সব সমস্যার সমাধান করবে। তবে হ্যাঁ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে টেলিভিশন ব্যবহার করা হয়।” তিনি জানিয়েছেন, টিভি ও রেডিওকে ব্যবহার করে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি সংক্রান্ত অনেক উদাহরণ রয়েছে। তাঁর মতে করোনা পরিস্থিতির পর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন। “প্রশ্ন হচ্ছে এই সবকিছুই কী প্রয়োজনীয়? আমার মনে হয় আমাদের সকলেরই মনে হয় এটা প্রয়োজনীয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি টেলিভিশন শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হতেই পারে কিন্তু তারজন্য শিক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগকে সুন্দর করে পরিবেশ করাও প্রয়োজনীয়।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনা মহামারির সময় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলি বন্ধ থাকার ফলে পড়ুয়ারা যে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তা করোনা পরবর্তী সময়ে ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর দাবি অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে তাঁর ফল মারাত্মক হতে পারে। অভিজিৎ বাবুর দাবি শুধুমাত্র স্কুলগুলি খুলে দিলেই হবে পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে দীর্ঘদিনের অনভ্যাসের পর পড়ুয়ারা যেন পুনরায় শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ফিরে আসতে পারে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা