Omar Abdullah on Kashmir Files: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর কোন অংশকে ‘মিথ্যা’ বললেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?
The Kashmir Files: শুক্রবার ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, এই ছবিতে প্রচুর মিথ্যা তথ্য রয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে "এটা যদি কোনও তথ্যচিত্র হত তবে কোনও সমস্যা নেই, তবে ছবির নির্মাতারাই দাবি করেছেন সত্যের ওপর নির্ভর করেই এই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে।
শ্রীনগর: পাড়ার মোড়ের আড্ডা হোক বা বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সব জায়গায় একটি সিনেমা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই ছবির ভূয়সী প্রশংসা করে ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। যে সব দর্শকরা এই ছবি দেখেছেন, তাদের অনেকের মতেই এই ছবিতে পরিচালক কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচারের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। অনেকের আবার দাবি, এই ছবিতে যা দেখান হয়েছে তাঁর সবকিছুই সম্পূর্ণ সত্যি নয়। ইতিমধ্যেই এই ছবি নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এই ছবি পক্ষেই মুখ খুলেছেন, অন্য দিকে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের এই ছবি নিয়ে ব্যক্তি ও দল বিশেষে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে। রাজনীতিবিদ থেকে বিভিন্ন সেলিব্রিটিরা এই ছবির পক্ষে বা বিপক্ষে মুখ খুলেছেন। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, এই ছবিতে প্রচুর মিথ্যা তথ্য রয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে “এটা যদি কোনও তথ্যচিত্র হত তবে কোনও সমস্যা নেই, তবে ছবির নির্মাতারাই দাবি করেছেন সত্যের ওপর নির্ভর করেই এই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই ছবিতে অনেক মিথ্যা দেখান হয়েছে এবং সবথেকে বড় মিথ্যা এটাই যে এখানে যে সময়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলা হয়ছে, সেই সময়ে কাশ্মীরে ন্যাশানাল কনফারেন্সের সরকার ছিল।” ওমর বলেন, “ছবিতে দেখান হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচারের সময় আমাদের দল সরকারে ছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালে ন্যাশানাল কনফারেন্স ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু সেই সময় বিজেপির সমর্থনের থাকা প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিংয়ের প্রতিনিধি তথা রাজ্যপালের হাতে রাজ্যের শাসনভার ছিল।”
শুক্রবার কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পলায়ন প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে মুসলিম ও শিখরাও অনেক আত্মত্যাগ করেছিলেন। বন্দুকের নল দিয়ে তাদেরও নিশানা করা হয়েছিল। শুধু কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই নন অনেক মুসলিম ও শিখ ধর্মাবলম্বীদেরও কাশ্মীর থেকে চলে যেতে হয়েছে।” যদিও তিনি জোর করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টির নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ন্যাশানাল কনফারেন্স কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।