Ram Nath Kovind: রাইসিনা হিলস-এর দিন শেষ, এবার কোথায় থাকবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ?

Ram Nath Kovind new address: সোমবার (২৫ জুলাই) পরবর্তী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়বেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অবসরের পর কোথায় থাকবেন তিনি? কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর প্রতিবেশী হতে চলেছেন।

Ram Nath Kovind: রাইসিনা হিলস-এর দিন শেষ, এবার কোথায় থাকবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ?
সনিয়া গান্ধীর প্রতিবেশী হতে চলেছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2022 | 1:50 PM

নয়া দিল্লি: রাইসিনা হিলস-এর প্রাসাদে আজই শেষ দিন। ইতিমধ্যেই তাঁর সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। সোমবার (২৫ জুলাই) পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মু। তারপরই রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে দিতে হবে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ থেকে অবসরের পর কোথায় থাকবেন তিনি? কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর প্রতিবেশী হতে চলেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবনের মতো বিশাল প্রাসাদে থাকা ছাড়াও বিনামূল্যে চিকিৎসা, যাতায়াতের খরচ, মাসে ৫ লক্ষ টাকা বেতন-সহ বহু সুযোগ-সুবিধা পেতেন। অবসরের পরও সেইসব সুযোগ-সুবিধার অনেকগুলিই পাবেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম হল থাকার জন্য একটি বাংলো। অবসরের পরে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নয়া ঠিকানা হতে চলেছে ১২ জনপথের বাংলো। বাংলোটি অবস্থিত কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধীর বাসভবন, ১০ জনপথের ঠিক পাশে। সূত্রের খবর সোমবারই তিনি সস্ত্রীক নয়া বাংলোতে উঠে যাবেন।

এই বাংলোয় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাস করতেন রামবিলাস পাসওয়ান

বিদায়ী রাষ্ট্রপতির রামনাথ কোবিন্দের নয়া বাসভবন হল একটি টাইপ-৮ বাংলো। এতে ৭টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া গৃহকর্মীদের জন্য ১টি আলাদা কোয়ার্টার রয়েছে। এই বাংলোটিতে একসময় থাকতেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই বাংলোয় বসবাস করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলোটি তাঁর ভাই তথা আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশুপতি কুমার পাসোয়ানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে পশুপতি কুমার ওই বাংলোতে থাকতে রাজি হননি। তারপর থেকে রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ানের দখলে ছিল বাংলোটি। কিন্তু আদালতের হস্তক্ষেপে ২০২২ সালের মার্চে সেটি খালি করা হয়। তারপর বাংলোটি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনিও বাংলোটিতে থাকেননি।

এখন বাংলোটি বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে বরাদ্দ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি বাংলোটিতে থাকতে রাজি হয়েছেন। তাঁর মেয়ে স্বাতী কোবিন্দের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্য়েই পুরো বাংলোটির সংস্কার করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২২ জুলাই) তাঁর মালপত্র নতুন বাংলোতে স্থানান্তরিতও করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি ভবনে খোদ বিদায়ী রাষ্ট্রপতি এখনও থেকে গিয়েছেন। সোমবার, নয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তবেই তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন ত্যাগ করবেন।

বাংলোটির পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতির ভাতা এবং পেনশন (সংশোধনী) আইন, ২০০৮ অনুযায়ী, অবসরের পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ মাসে ১.৫ লক্ষ টাকা করে পেনশন পাবেন। এছাড়া, কার্যালয় পরিচালনা এবং কর্মীদের বেতন বাবদ প্রতি মাসে আরও ৬০ হাজার টাকা করে ভাতা। বিরাট বাংলোটির কোনও ভাড়াও তাঁকে দিতে হবে না। এছাড়া, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিনামূল্যে দুটি ল্যান্ডলাইন, একটি মোবাইল ফোন, একটি ইন্টারনেট সংযোগ, বিদ্যুৎ এবং জল পাবেন। একটি গাড়ি এবং ড্রাইভার সবসময় তাঁর সেবায় মোতায়েন থাকবে। কার্যালয় পরিচালনার জন্য দু’জন সচিব পাবেন। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। বাকি জীবনের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধাও পাবেন। পাশাপাশি আজীবন বিনামূল্যে প্রথম শ্রেণীর রেল টিকিট এবং উড়ানের টিকিট পাবেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির স্ত্রীও, সচিব পর্যায়ের সহায়তার জন্য প্রতি মাসে ৩০,০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন।