NEP in West Bengal: নয়া শিক্ষানীতি পশ্চিমবঙ্গে চালু করার জন্য কাজ করছে কেন্দ্র : ধর্মেন্দ্র প্রধান

NEP : ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, "আমি জানি না, কী কারণে কেউ জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০২০-র (NEP, 2020) বিরুদ্ধে হবে। এই নয়া শিক্ষা নীতি আধুনিক, সমসায়মিক এবং কর্মসংস্থান তৈরি করবে। বিগত দুই বছরে, আমরা সমস্ত স্টেকহোল্ডারের থেকে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।"

NEP in West Bengal: নয়া শিক্ষানীতি পশ্চিমবঙ্গে চালু করার জন্য কাজ করছে কেন্দ্র : ধর্মেন্দ্র প্রধান
ধর্মেন্দ্র প্রধান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2022 | 2:38 PM

কলকাতা : রাজ্যে নয়া শিক্ষা নীতি (National Education Policy 2020) প্রণয়নের জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Minister Dharmendra Pradhan)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। যদি কোথাও কোনও ফাঁক থেকে যায়, সেগুলি পূরণ করে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের থেকে যে ইস্য়ুগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “আমি জানি না, কী কারণে কেউ জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০২০-র (NEP, 2020) বিরুদ্ধে হবে। এই নয়া শিক্ষা নীতি আধুনিক, সমসায়মিক এবং কর্মসংস্থান তৈরি করবে। বিগত দুই বছরে, আমরা সমস্ত স্টেকহোল্ডারের থেকে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।”

উল্লেখ্য রাজ্য সরকার সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার উপর একটি রাজ্য-স্তরের নীতির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে বলেছিলেন, দশ সদস্যের ওই কমিটি নীতির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরই রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানাবে। কারণ, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি যুগ্ম তালিকায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতির পুরোপুরি বিরোধিতা করছে না। রাজ্যের বক্তব্য, জাতীয় শিক্ষানীতির থেকে কেবল ভাল দিকগুলি নেওয়া হবে এবং খারাপ দিকগুলি বাদ দেওয়া হবে। সেই কারণেই এই নয়া শিক্ষা নীতি খতিয়ে দেখার জন্য দশ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। কমিটিতে রয়েছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী, সুগত বসু, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি সহ অন্যান্যরা। কমিটির সদস্যরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর নিজেদের মতামত রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জানাবে এবং তারপরই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।