Pegasus Case: বিশেষ কমিটির হাতেই পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তভার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court to Set up Probe Panel on Pegasus Case: এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা বলা হলে, কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িত রয়েছে।

Pegasus Case: বিশেষ কমিটির হাতেই পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তভার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 1:26 PM

নয়া দিল্লি: পেগাসাস কাণ্ডে (Pegasus Case) তদন্ত করতে এ বার বিশেষ কমিটি (Special Committee) গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার সকালে পেগাসাস মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমন (NV Ramana) এই নির্দেশই দেন। আগামী সপ্তাহেই এই কমিটি সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে বাদল অধিবেশনের শুরুর আগেরদিনই সামনে আসে পেগাসাস কাণ্ড। দাবি করা হয়, পেগাসাস নামক একটি ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংবাদিক, শিল্পপতিদের উপর। বিরোধীরা এই বিষয়ে তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়। এরপরই পেগাসাস নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে।

এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের একাধিক আবেদন জমা পড়লে সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রধান বিচারপতি এনভি রমন, বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। শেষ শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য কিছু অতিরিক্ত সময় চাওয়া হয়েছিল।

তার আগের শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, গোটা বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত করতে একটি বিশ্ষ কমিটি গঠন করা হবে। এ দিন অপর একটি মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমন বলেন,”তদন্তের জন্য অবশ্যই কমিটি গঠন করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এই বিষয়ে নির্দেশ পাশ করতে চাই। বিশেষজ্ঞ কমিটির জন্য যাদের বিবেচনা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন সদস্য ব্যক্তিগত কারণে এই কমিটির সদস্য হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। সেই কারণেই এই দেরী হচ্ছে।”

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা বলা হলে, কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িত রয়েছে। কেন্দ্র কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, তা যদি জনসমক্ষে জানানো হয়, তবে সেই তথ্যকে কাজে লাগিয়েই সন্ত্রাসবাদীরা নানা ধরনের নাশকতা চালাতে পারে। সুতরাং এই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।

এর জবাবেই প্রধান বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার কথা আমরা জানতে চাই না। তবে সাধারণ মানুষ যে তাদের ফোন ট্যাপ হওয়ার অভিযোগ জাবনাচ্ছে, সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চাই আমরা।”

গত শুনানিতেই আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, যদি কমিটি গঠন হয়, তবে তারা নিয়মমাফিকই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেবে। সরকারের তরফে যে হলফনামা জমা দিতে অস্বীকার করা হয়েছে, তাও সর্বজনীন রেকর্ড হিসাবেই গণ্য করা হবে।

আবেদনকারীদের তরফে হাজির আইনজীবী কপিল সিবালও বলেছিলেন, “আমরা জাতীয় নিরাপত্তাকে কোনওভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চাই না। কিন্তু যদি পেগাসাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং সাধারণ মানুষ এর শিকার হন, তবে তা গুরুতর একটি বিষয়।”

আরও পড়ুন: Bharat Bandh: আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে এবার বাম-কংগ্রেসও, ভারত বনধে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা