PM Narendra Modi: সীমান্তে নজরদারি নিয়ে ঐক্যমত্যের পর বুধবার মোদী-জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
PM Narendra Modi: ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের টানাপোড়েন বাড়ে। এতদিনের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সীমান্তে নজরদারি চালানো নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। সোমবার বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি জানিয়েছিলেন, দুই দেশের আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি চালানো নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
কাজান: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। বুধবার মোদী ও জিনপিং ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। প্রকৃত সীমান্তরেখায় নজরদারি নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি জানিয়েছেন, “বুধবার ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।”
২০২০ সালের জুনে গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের টানাপোড়েন বাড়ে। এতদিনের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সীমান্তে নজরদারি চালানো নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। সোমবার বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি জানিয়েছিলেন, দুই দেশের আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি চালানো নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
তারপর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, ২০২০ সালের মে মাসের আগে যেমন দুই দেশের সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি চালাত, সেই অবস্থা ফিরছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, দেপসাং সমতল এলাকা এবং দেমচকে নজরদারি চালানো নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। দুই দেশের সেনাই সেখানে টহল দেবে। দুই দেশের এই ঐক্যমত্যের ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় নজরদারি দিয়ে দুই দেশের ঐক্যমত্যের একদিন পরই রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে পৌঁছেছেন মোদী ও জিনপিং। সেখানেই আগামিকাল দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তাঁরা। সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনার নির্যাস কী হবে, সেদিকে তাকিয়ে সবাই।