Roof Plaza Rail Station: রুফ টপ কফি হাউসের মতো এবার রুফ প্লাজা রেলস্টেশনের পরিকল্পনা মোদীর, ব্লু প্রিন্ট ভিডিয়ো প্রকাশ রেলমন্ত্রীর

গোটা শহরকে জুড়তে এবং সমস্ত নাগরিককে সুবিধা দিতেই তৈরি করা হবে রুফ প্লাজা রেলস্টেশন। যেখানে ওয়েটিং রুম, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, স্থানীয় পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সমস্ত রকম সুবিধা থাকবে।

Roof Plaza Rail Station: রুফ টপ কফি হাউসের মতো এবার রুফ প্লাজা রেলস্টেশনের পরিকল্পনা মোদীর, ব্লু প্রিন্ট ভিডিয়ো প্রকাশ রেলমন্ত্রীর
আসতে চলেছে রুফ প্লাজা রেলস্টেশন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 6:19 PM

নয়া দিল্লি: কয়েক দশক আগের কথা ভাবুন! এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই মন্ত্রেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প করেন তিনি। এবার রেলের পরিকাঠামো গঠনেও প্রধানমন্ত্রীর এই মন্ত্রের বাস্তবায়ন হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই এবার দেশে হতে চলেছে রুফ প্লাজা রেলস্টেশন হতে চলেছে। একটি নয়, ৫০টি রুফ প্লাজা স্টেশন হতে চলেছে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগছে!তবে শীঘ্রই এমনটা হতে চলেছে এদেশে। সম্প্রতি রুফ প্লাজা রেলস্টেশনের কথা জানিয়ে টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রুফ টপ কফি হাউসের কথা সকলেই জানেন। কিন্তু, রুফ প্লাজা রেলস্টেশন! এমন কথা শুনে অনেকেরই হয়ত চোখ কপালে উঠছে। তবে গোটা শহরকে জুড়তে এবং সমস্ত নাগরিককে সুবিধা দিতেই তৈরি করা হবে রুফ প্লাজা রেলস্টেশন। যেখানে ওয়েটিং রুম, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, স্থানীয় পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সমস্ত রকম সুবিধা থাকবে। আর এই অভাবনীয় পরিকল্পনাটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত।

রুফ প্লাজা রেলস্টেশন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভিডিয়োবার্তায় জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০টি স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই নির্দেশ মোতাবেক একটি পরিকল্পনা করা হয় এবং গোটা পরিকল্পনাটি প্রায় সওয়া দু-ঘণ্টা ধরে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয়। কিন্তু, সেটি দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট হতে পারেননি। রেলমন্ত্রীর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী কোনও সাধারণ জিনিসে সন্তুষ্টৃ হন না। উনি সবকিছু খুব সুক্ষ্মভাবে দেখেন।” আর তাই সেই রাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং ফোন করেন রেলমন্ত্রীকে। তারপর তিনিই রুফ প্লাজা রেলস্টেশনের পরিকল্পনার কথা জানান।

নমো-র উদ্ধৃতি তুলে ধরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “উনি (প্রধানমন্ত্রী) ফোন করে বলে, এই পরিকল্পনা-নকশা আজকের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু, আগামী ৫০ বছরের কথা ভেবে পরিকল্পনা করতে হবে।” এরপরই রুফ প্লাজা রেলস্টেশনের ‘আইডিয়া’ দেন নমো। রুফ প্লাজা রেলস্টেশন সম্পর্কে তিনি রেলমন্ত্রীকে জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেন শহরের দুটি অংশ। সেটি কখনও একসঙ্গে জোড়া যায় না। কিন্তু, রেল স্টেশনের নকশা এমন বানাতে হবে, যাতে শহরের দুটো অংশকে জোড়া যায়। কংক্রিটের স্তম্ভের উপর রুফ টপ রেলস্টেশন গড়ে তুলতে পারলে সেটা সম্ভব হবে। কেবল শহরের বাসিন্দাদের জন্য নয়, সারা শহরের বাসিন্দা, সমস্ত নাগরিকের জন্য স্টেশন বানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে সব স্টেশন সাধারণত শহরের প্রান্তে হয়। ফলে বড় শহরের ভিতরের দিকে যাঁরা থাকেন, তাঁদের স্টেশনে পৌঁছতে অনেক সমস্যা হয়। তাই স্টেশন চত্বরে জায়গাও কম থাকে। তাই রুফ টপ স্টেশন হলে এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে সেই রুফ টপের যোগাযোগ থাকলে উপকৃত হবেন যাত্রীরা। রুফ টপ স্টেশনে ওয়েটিং রুম, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, স্থানীয় পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র করারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ মোতাবেক ইতিমধ্যে রুফ টপ রেল স্টেশনের ‘ব্লু প্রি’ন্ট তৈরি করে ফেলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এবার কেবল এটি বাস্তবায়নের অপেক্ষা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের রেল পরিকাঠামো যে এক নতুন দিশা পাবে, তা বলা বাহুল্য।