স্ত্রীর দেহ বাইকে বেঁধে নিয়ে যেতে হয়েছিল নিরুপায় স্বামীকে! ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক ট্রাককে খুঁজে দিল পুলিশের AI
Hit & Run Case: গত ৯ অগস্ট দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। করণ যাদবের বাইকের পিছনে ধাক্কা মেরেছিল দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক। তার ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী গার্সী যাদব। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাক তাঁকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায়। করণ শুধু দেখতে পেয়েছিলেন, ঘাতক ওই ট্রাকের গায়ে লাল দাগ দেওয়া।

নাগপুর: রাখির দিন মর্মান্তিক একটা দৃশ্য শিহরিত করেছিল গোটা দেশকে। স্ত্রীর নিথর দেহ বাইকে ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন স্বামী। নানা প্রশ্ন উঠেছিল ওই ভিডিয়ো ঘিরে। পরে জানা গিয়েছিল, এক ট্রাক এসে পিষে দিয়েছে স্ত্রীকে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন স্বামী। এগিয়ে আসেনি কেউ। তাই নিজেই স্ত্রীর দেহ বাইকের পিছনে বেঁধে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। পুলিশ যখন তদন্ত শুরু করে, ওই ব্যক্তি ঘাতক ট্রাক সম্পর্কে বিশেষ কিছুই বদলে পারেননি। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে পুলিশ মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই ওই ঘাতক ট্রাককে ধরে ফেলল।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে গত ৯ অগস্ট দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। করণ যাদবের বাইকের পিছনে ধাক্কা মেরেছিল দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক। তার ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী গার্সী যাদব। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাক তাঁকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায়। করণ শুধু দেখতে পেয়েছিলেন, ঘাতক ওই ট্রাকের গায়ে লাল দাগ দেওয়া।
পুলিশও যখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন এইটুকু তথ্যই দিতে পেরেছিলেন। তবে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যালগরিদম স্ক্যান করা হয়। এতেই মেলে ক্লু। নাগপুর রুরালের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট হর্ষ পোদ্দার বলেন, তিনটি টোল নাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে, তা অ্যানালাইজ করা হয় দুটি এআই অ্যালগরিদমের মাধ্যমে।
প্রথম অ্যালগরিদমের মাধ্যমে টোল প্লাজা দিয়ে যাওয়া সমস্ত ট্রাক চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে লাল মার্কিং রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় অ্যালগরিদমে ট্রাকগুলির স্পিড বা গতি পরিমাপ করা হয়, কারণ দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাকটি আরও স্পিডে পালিয়ে গিয়েছিল।
মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে চিহ্নিত করে এবং গোয়ালিয়র-কানপুর হাইওয়ে থেকে ট্রাক আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ট্রাকের চালককে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র সরকার তৈরি করেছে একটি বিশেষ গাড়ি, যার নাম মার্ভেল (মহারাষ্ট্র রিসার্চ অ্যান্ড ভিজিল্যান্স ফর এনহ্যান্সড ল প্রোটেকশন)। এটিই দেশের প্রথম রাজ্য পুলিশের হাতে থাকা এআই সিস্টেম। বিভিন্ন তথ্য তালাশ করতেই এই টুলের ব্যবহার করা হচ্ছে।

