Priyanka Gandhi: এতদিন মা-দাদার হয়ে প্রচার করেছেন, এবার অন্য ভূমিকায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী
Priyanka Gandhi: স্মৃতির সরণি বেয়ে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ২০০৪ সালে প্রথম ভোট প্রচারে দেখা গিয়েছিল প্রিয়ঙ্কাকে। রায়বরেলিতে মা সনিয়া গান্ধীর হয়ে প্রচার করেছিলেন। আর আমেঠিতে দাদা রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন।
নয়াদিল্লি: নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে অনেকদিন আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। কখনও রায়বরেলিতে মা সনিয়া গান্ধীর হয়ে প্রচার করেছেন। কখনও দাদা রাহুল গান্ধীর হয়ে আমেঠি ও ওয়েনাড়ে প্রচার করেছেন। কিন্তু, কখনও ভোট ময়দানে নিজে নামেননি। নিজের জন্য ভোট চেয়ে জনতার দরবারে যাননি। এবার সেটাই করতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। ওয়েনাড় লোকসভা আসনে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে হাত শিবির। দাদা রাহুল গান্ধীর জেতা আসনে প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রায়বরেলি ও ওয়েনাড়। দুটি কেন্দ্রেই জেতেন তিনি। নিয়ম অনুসারে, তাঁকে একটি আসন ছাড়তে হয়। ওয়েনাড় আসনটি ছাড়েন রাহুল। তখনই সেখানে প্রিয়ঙ্কার প্রার্থী হওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এবং প্রিয়ঙ্কা যে ওয়েনাড়ে প্রার্থী হচ্ছেন, সেইসময়ই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল। ফলে এদিন কার্যত প্রার্থী হিসেবে প্রিয়ঙ্কার নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল।
স্মৃতির সরণি বেয়ে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ২০০৪ সালে প্রথম ভোট প্রচারে দেখা গিয়েছিল প্রিয়ঙ্কাকে। রায়বরেলিতে মা সনিয়া গান্ধীর হয়ে প্রচার করেছিলেন। আর আমেঠিতে দাদা রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। কিন্তু, এতদিন নিজে ভোট ময়দানে নামার ইচ্ছেপ্রকাশ করেননি। ফলে এই প্রথম নিজের জন্য ভোট চাইবেন বছর বাহান্নর প্রিয়ঙ্কা।
এদিন জাতীয় নির্বাচন কমিশন মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। ঝাড়খণ্ডে ২ দফায় এবং মহারাষ্ট্রে এক দফায় ভোট হবে। আর এই দুই রাজ্যের সঙ্গে দেশের বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে হবে। ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফা ভোটের সঙ্গে দেশের ১৪টি রাজ্যের ৪৭টি বিধানসভা ও ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ফলে প্রিয়ঙ্কার ভাগ্য ব্যালটবন্দি হবে ১৩ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় দফা ও মহারাষ্ট্রে ভোট রয়েছে ২০ নভেম্বর। ওইদিন উত্তরাখণ্ডের একটি বিধানসভা আসন ও মহারাষ্ট্রের একটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। দুই রাজ্য ও উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর। ওইদিনই জানা যাবে, সাংসদ হিসেবে সংসদে প্রিয়ঙ্কা যেতে পারবেন কি না।