Amarinder Singh: ‘বিজেপিতে যাচ্ছি না, তবেও কংগ্রেসের সঙ্গেও আর নয়’, সাফ কথা ‘অপমানিত’ অমরিন্দরের
Amarinder Singh on Joining BJP: ইতিমধ্যেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের বায়ো থেকে মুছে ফেলেছেন কংগ্রেস শব্দটি। এ দিন একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি এখনও অবধি কংগ্রেসেই রয়েছি, তবে আগামিদিনে আর কংগ্রেসে থাকব না।"
নয়া দিল্লি: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)-র অবস্থান ঘিরে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে সাক্ষাতের পরই গুঞ্জন শোনা যায়, তিনি বিজেপি(BJP)-তে যোগ দিতে চলেছেন। তবে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। তবে আগামিদিনে কংগ্রেস(Congress)-র সঙ্গেও যে আর থাকতে চান না, সে কথা আরও ভালভাবে বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের বায়ো থেকে মুছে ফেলেছেন “কংগ্রেস” শব্দটি। এ দিন একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এখনও অবধি কংগ্রেসেই রয়েছি, তবে আগামিদিনে আর কংগ্রেসে থাকব না। আমি ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমার সঙ্গে এ হেন ব্যবহার মেনে নেব না কিছুতেই।”
আগামী বছরের শুরুতেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই কংগ্রেস ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন অমরিন্দর সিং, এমনটাই সূত্রের খবর। নিজেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তাঁকে যে অপমান করে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে, তা ভালভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অমরিন্দর সিং। যে দিন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন, সেইদিনই তিনি বলেছিলেন, “বারবার আমায় এভাবে অপমান করা হচ্ছে। এই অপমান মেনে নেব না আমি।” এরপরই অমরিন্দরের দলত্যাগের জল্পনা শুরু হয়।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যে কংগ্রেসের পতন অবশ্যম্ভাবী, তা জানিয়ে নভজ্যোত সিং সিধুকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নভজ্যোত সিধু হচ্ছে একটা “বাচ্চা ছেলে”, যাকে দলের গুরুভার দেওয়া হয়েছে।
দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অমরিন্দর সিং বলেন, “আমি দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছি। আমার নিজের কিছু মতাদর্শ, বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু যেভাবে আমার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে… সকাল সাড়ে ১০টার সময় আমায় ইস্তফা দিতে বলেন কংগ্রেস সভাপতি। আমি কোনও প্রশ্ন করিনি, শুধু বলেছিলাম এখনই ইস্তফা দিচ্ছি। ৪টের সময় আমি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিই। যদি ৫০ বছর পরও আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যদি কোনও বিশ্বাসই না থাকে, তবে সেই দলে থেকে লাভ কী?”
অমরিন্দর সিং জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগেই তিনি দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছিলেন যে এই নিয়ে তাঁকে তিনবার দলের তরফে অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি যে এভাবে অপমানিত হতে পারব না। আমি এখনও কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিইনি, কিন্তু যেভাবে বিশ্বাস নেই, সেখানে কেউ কীভাবে থাকতে পারে? বিশ্বাস না থাকলে কেউ থাকতে পারে না।”
অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলেই তিনি বলেন, “আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না। আমি এখনও কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিইনি, কিন্তু শীঘ্রই ইস্তফা দেব। তবে আমি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিই না, তবে আমি বিজেপিতেও যাচ্ছি না।”
সিধুর কারণেই অমরিন্দর সিং ইস্তফা দিয়েছেন কিনা, এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, “সিধু ইমম্যাচিওর। আমি আগেও বলেছি বারবার যে, উনি সুস্থির নন, দলগতভাবে কাজ করতে পারেন না। তিনি কীভাবে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন? এই ধরনের দায়িত্বের জন্য একজন দলগত যোদ্ধার প্রয়োজন হয়, যা সিধু নন।”