AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Report on PM’s Security Breach: উল্লেখ নেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির, জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর পঞ্জাব সরকারের!

Report on PM's Security Breach: ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৩৮ ধারা অনুযায়ী পথ আটকানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, যা জামিনযোগ্য ধারা। এই ধারায় সর্বাধিক ২০০ টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে।

Report on PM's Security Breach: উল্লেখ নেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির, জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর পঞ্জাব সরকারের!
মাঝ রাস্তায় ২০ মিনিট আটকে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2022 | 7:41 AM
Share

চণ্ডীগঢ়: পঞ্জাব সফরে (Punjab Visit) গিয়ে মাঝপথেই আটকে থাকতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)কে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরেও আসতে হয় তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা (PM’s Security) ও পঞ্জাব পুলিশ(Punjab Police)-র ভূমিকা নিয়ে। চাপে পরেই তদন্তকারী দলও গঠন করেছিল পঞ্জাব সরকার। শুক্রবার সেই পঞ্জাব সরকারের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল। রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয় দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্য়ক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পঞ্জাব পুলিশ। তবে সেই রিপোর্টে নিরাপত্তায় গাফিলতির কোনও উল্লেখ নেই।

কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে?

চলতি সপ্তাহের ওই ঘটনার পরই দেশজুড়ে নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু পঞ্জাব পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে নিরাপত্তার গাফিলতির কথা উল্লেখই করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেন পঞ্জাবের মুখ্য সচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি। ওই রিপোর্টে সেদিনের ঘটনাক্রম ও প্রধানমন্ত্রীর রাস্তায় ১৫-২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।

পঞ্জাব সরকারের তরফে জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা যে পথ অবরোধ করেছিল, তা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই হয়েছিল, আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা ছিল না। রাস্তা খালি করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্জাবের ফিরোজপুরের কুলগারহি পুলিশ স্টেশনে যে এফআইআর দায়ের করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি বা কনভয়ের যাতায়াতে বাধার উল্লেখ করা হয়নি।

কোন কোন ধারায় অভিযোগ দায়ের-

সূত্রের খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৩৮ ধারা অনুযায়ী পথ আটকানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, যা জামিনযোগ্য ধারা। এই ধারায় সর্বাধিক ২০০ টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে। এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুলিশের একটি দল বুধবার দুপুর আড়াইটের পর অবরোধস্থলে পৌঁছয়, যা প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ওই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর।

দায় স্বীকার ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের:

পঞ্জাব সরকার সমস্ত দায়ভার ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (ক্রান্তিকারী)-র তরফে গোটা ঘটনার দায়স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের নেতা সুরজিৎ সিং ফুল জানান, প্রায় ১ হাজার বিক্ষোভকারী সকাল ১১টা থেকে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। তবে পঞ্জাব পুলিশের এফআইআরে এই বিষয়ের কোনও উল্লেখই নেই।

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তা ও পঞ্জাব সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বয়ানের ভিত্তিতেই প্রাথমিক রিপোর্টটি তৈরি ও জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে পরবর্তী শুনানি না হওয়া অবধি পঞ্জাব ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের তদন্তকারী কমিটির কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।