Smriti Irani defamation: স্মৃতি ইরানির মানহানি মামলায় ৩ কং নেতাকে সমন পাঠালো দিল্লি হাইকোর্ট! মুছে দিতে হবে টুইট-ও

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দায়ের করা মানহানির মামলায়, শুক্রবার (২৯ জুলাই) জয়রাম রমেশ, পবন খেরা এবং নেট্টা ডি'সুজা - তিন কংগ্রেস নেতাকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট।

Smriti Irani defamation: স্মৃতি ইরানির মানহানি মামলায় ৩ কং নেতাকে সমন পাঠালো দিল্লি হাইকোর্ট! মুছে দিতে হবে টুইট-ও
স্মৃতির পক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 2:33 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দায়ের করা মানহানির মামলায়, শুক্রবার (২৯ জুলাই) জয়রাম রমেশ, পবন খেরা এবং নেট্টা ডি’সুজা – তিন কংগ্রেস নেতাকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। আগামী ১৮ অগস্ট তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। গোয়ায় স্মৃতি ইরানির মেয়ে জোয়েশে একটি অবৈধ বার চালান বলে অভিযোগ করেছিলেন এই তিন কংগ্রেস নেতা। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এদিন সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মিনি পুষ্কর্ণর নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কংগ্রেস নেতাদের সমন পাঠানোর পাশাপাশি অবিলম্বে ‘মানহানিকর’ টুইটগুলি মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুনানি চলাকালীন, স্মৃতি ইরানির আইনজীবী আদালতে জানান, স্মৃতির মেয়ে জোয়েশের ওই অভিযুক্ত বারটির সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই। তাই, কংগ্রেস নেতাদের দেওয়া বিবৃতিগুলি মানহানিকর। এর জন্য স্মৃতির পক্ষ থেকে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মিনি পুষ্কর্ণ জানান, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় সুবিধার ভারসাম্য রয়েছে বাদী পক্ষেই। তাই বিবাদীদের নির্দেশ দিয়ে একটি অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা পাস করাটা যথাযথ বলে মনে করছে আদালত। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার – সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বিবাদীদের সংবাদ সম্মেলনের সময় করা অভিযোগগুলি মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্মৃতি ইরানি এবং তার মেয়ের সম্পর্কে করা পোস্ট, ভিডিও, টুইট, রিটুইট এবং মর্ফ করা ছবিগুলিও মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাদীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই নির্দেশাবলী মানতে হবে।

আদালতের এই আদেশের পরই কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেন, “স্মৃতি ইরানির দায়ের করা মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে জবাব দিতে বলে একটি নোটিশ জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আমরা আদালতের সামনে এই বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য উন্মুখ। মিসেস ইরানি যেভাবে বিষয়টি ঘোরাতে চাইছেন, আমরা তা চ্যালেঞ্জ করব এবং তাকে ভুল প্রমাণ করব।”

এর আগে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, জোয়েশ ইরানি গোয়ায় একটি অবৈধ বার চালান। তাদের অভিযোগ, ওই রেস্তোরাঁটির শুধুমাত্র রেস্তোরাঁটি চালানোর জন্য লাইসেন্স ছিল। কিন্তু, স্মৃতি ইরানির কন্যা তাঁর মায়ের রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদেশি এবং দেশি মদ পরিবেশনের লাইসেন্স নিয়েছিলেন এক মৃত ব্যক্তির নামে। গত মাসে সেই লাইসেন্সটি নবায়নও করা হয়েছে। এই নিয়ে গোয়ার আবগারি কমিশনার নারায়ণ এম গাদ কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, স্মৃতি রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে তাঁকে হেনস্থা করেছেন।