AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি বিনা নজরদারিতে কাজ করতে পারে না’, X-র আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

Karnataka High Court: ভারত সরকারের 'সহযোগ' পোর্টালের বিরুদ্ধেই কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এক্স। কেন্দ্রের এই পোর্টাল কনটেন্ট ব্লকের নির্দেশ দেয়। ইলন মাস্কের সংস্থার তরফে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছিল যে সরকারের এই ক্ষমতা নেই।

'সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি বিনা নজরদারিতে কাজ করতে পারে না', X-র আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট
এক্সের আবেদন খারিজ করল কর্নাটক হাইকোর্ট।Image Credit: PTI
| Updated on: Sep 24, 2025 | 5:58 PM
Share

বেঙ্গালুরু: কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ ইলন মাস্কের সংস্থা এক্সের। সেই আবেদন খারিজ করে দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। এ দিন আদালতের তরফে বলা হয় যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্য়াটফর্মগুলির নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন আছে। বাক স্বাধীনতার নামে যা কিছু বলতে দেওয়ার স্বাধীনতা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে।

ভারত সরকারের ‘সহযোগ’ পোর্টালের বিরুদ্ধেই কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এক্স। কেন্দ্রের এই পোর্টাল কনটেন্ট ব্লকের নির্দেশ দেয়। ইলন মাস্কের সংস্থার তরফে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছিল যে সরকারের এই ক্ষমতা নেই।

তাদের বক্তব্য ছিল, তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-র ৭৯(৩)(বি) ধারায় সরকারি আধিকারিকরা কোনও কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষমতা দেয় না। সরকারের সহযোগ পোর্টালে যোগ দেওয়ার নিয়ম থেকে অন্তর্বর্তী সুরক্ষার আবেদন করেছিল এক্স। অন্যদিকে, কেন্দ্র এক্সের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছিল যে বেআইনি বা আইন-বিরুদ্ধ কনটেন্ট বৈধ স্পিচ বা বক্তব্যের মতো সাংবিধানিক সুরক্ষা চাইতে পারে না।

দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে শুনানি চলে এই মামলার। গত জুলাই মাসে শুনানি শেষ হয়। এ দিন কর্নাটক হাইকোর্ট এক্সের পিটিশন খারিজ করে দেয়। বলা হয়, এই আবেদনের কোনও ভিত্তি নেই।

বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন বলেন, “সহযোগ পোর্টাল নাগরিক ও সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার কাজ করে। এটি একটি মেকানিজম যা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সংবিধানের ১৯(১) ধারায় বাক স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে কর্নাটক হাইকোর্টের বেঞ্চ বলে, তথ্য ও যোগাযোগ যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে বা যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ে, তা কখনও বিনা যাচাই করে করা হয় না। এটা সবসময় নিয়মের অধীনে থাকে।”

কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে সাফ বলা হয়, “সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি বিনা নজরদারি বা নিয়মে ভারতে কাজ করতে পারবে না।”