India-US: ট্রাম্পের শুল্কের খাঁড়ায় রক্তাক্ত বিশ্ব, বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ভারত
Reciprocal Tariffs: ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরই বিভিন্ন দেশ নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চিন জানিয়েছে, তারাও আমেরিকার উপরে ৩৪ শতাংশ ট্যারিফ বসাবে। কানাডাও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে তারা কোনও পাল্টা শুল্ক বসাবে না।

নয়া দিল্লি: ট্রাম্পের এক সিদ্ধান্তে হইচই গোটা বিশ্বে। একাধিক দেশের উপরে নামিয়েছেন শুল্কের খাঁড়া। ছাড় পায়নি ভারতও। বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন হারে শুল্ক। আগামী ৯ এপ্রিল থেকেই শুল্ক বা ট্যারিফ কার্যকর হবে। ইতিমধ্যেই চিন, কানাডা পাল্টা ট্যারিফ ঘোষণা করেছে। এবার ভারত বড় সিদ্ধান্ত নিল।
সূত্রের খবর, চিন-কানাডা ট্যারিফ বসালেও, ভারত আমেরিকার উপরে পাল্টা ট্যারিফ বসাবে না। বরং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্য চুক্তি সারতে চাইছে। ৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। তার আগেই এই চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছে ভারত।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের উপরে ট্য়ারিফ ঘোষণা করে। ভারতের উপরে ২৬ শতাংশ শুল্ক বসান। চিনের উপরে বসানো হয় ৩৪ শতাংশ শুল্ক। বাংলাদেশের উপরে ৩৭ শতাংশ, ভিয়েতনামের উপরে ৪৬ শতাংশ. ইন্দোনেশিয়ার উপরে ৩২ শতাংশ শুল্ক বসান। ইংল্যান্ড, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উপরে ১০ শতাংশ করে শুল্ক বসান।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরই বিভিন্ন দেশ নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চিন জানিয়েছে, তারাও আমেরিকার উপরে ৩৪ শতাংশ ট্যারিফ বসাবে। কানাডাও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে তারা কোনও পাল্টা শুল্ক বসাবে না। ভিয়েতনাম জানিয়েছে, তারা আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায়, এর জন্য নিজেদের শুল্ক শূন্য করে দেবে।
এবার ভারতও সেই পথে হাঁটতে চলেছে। সূত্রের খবর, তারা আমেরিকার উপরে পাল্টা শুল্ক বসাবে না। এর বদলে যদি কোনও বাণিজ্যিক চুক্তি করা যায়, সেই পথে হাঁটতে চান।
প্রসঙ্গত, আমেরিকা ভারত থেকে রফতানি করা পণ্যের উপরে ২৬ শতাংশ শুল্ক বসালেও, সেমিকন্ডাকটর, তামা ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যকে এই ট্যারিফ থেকে ছাড় দিয়েছে। ট্রাম্পের শুল্কের কোপে ইলেকট্রনিক্স, অটো পার্টস, গ্রহরত্ন, গহনার দাম বাড়তে পারে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুল্ক বসানোর হুমকি দিচ্ছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে তিনি সুর চড়িয়েছিলেন অতিরিক্ত শুল্ক নেওয়ার জন্য। এরপরে ভারত হার্লে-ডেভিডসন বাইকের উপরে আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করে। বার্বন হুইস্কির উপরেও শুল্ক ১৫০ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। গুগল ট্যাক্সও কমিয়ে দেয় ভারত।





