নয়া দিল্লি: ভোটের ময়দানে ফের একবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)-র পা রাখার জল্পনা তুঙ্গে। লোকসভা নির্বাচনে এবার চমকপ্রদ ফল করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ওয়েনাড (Wayanad) ও রায়বরেলী (Rae Bareli)- দুই আসন থেকেই তিন লাখের বেশি ভোটের মার্জিনে জয়ী হয়েছেন তিনি। তবে দুই কেন্দ্রের সাংসদ তো হতে পারেন না রাহুল, তাই রায়বরেলী বা ওয়েনাডের মধ্যে একটি আসন ছাড়তে হবে তাঁকে। আর সেখানেই শুরু প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নির্বাচনে লড়াইয়ের জল্পনা। রাহুল কোনও একটি আসন ছাড়লে, সেই আসনে উপ-নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হবেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, এমনটাই কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন।
মঙ্গলবারই রাহুল গান্ধী একটি জনসভায় দাবি করেছিলেন যে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যদি লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেন, তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ২-৩ লাখ ভোটে হারিয়ে দিতেন। রাহুল যতই বোন প্রিয়ঙ্কার সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে প্রশংসা করুক, প্রিয়ঙ্কা কিন্তু বারংবার ভোটের ময়দান থেকে সরে এসেছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল তাঁর, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করে কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাইকে প্রার্থী করা হয়। এরপর ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়ঙ্কা নিজেই জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন। এবারের লোকসভাতেও রায়বরেলী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন তিনি, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওই আসন থেকে প্রার্থী হন রাহুল গান্ধী এবং জয়ীও হন।
সূত্রের খবর, ওয়েনাড আসন ছাড়তে চলেছেন রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড থেকে তাঁকে কখনও ব্যর্থ হয়ে ফিরতে না হলেও, কংগ্রেসের গড় রায়বরেলী ছাড়তে চান না কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। জাতীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের গুরুত্ব অনেক বেশি, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও গান্ধী ভাই-বোনকেই আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে দুই ভাই-বোনই নির্বাচনে লড়ুক, এটাই চান তিনি। কংগ্রেস যদি ওয়েনাড বা রায়বরেলীর আসন অন্য কারোর হাতে ছেড়ে দেয়, তবে দলীয় কর্মীদের তা ভুল বার্তা দেবে।
এদিকে, ওয়েনাডে ইতিমধ্যেই পোস্টার পড়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধী যাতে তাদের কেন্দ্র ছেড়ে না যান, তার দাবিতে। যদি একান্তই রাহুলকে ওয়েনাড ছাড়তে হয়, তবে যেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে এই কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়, এই আর্জিি জানিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা।