Adani on Maha Kumbh: ভারতের আধ্যাত্মিক পরিকাঠামোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে মহাকুম্ভ : গৌতম আদানি
Adani on Maha Kumbh: আদানির কথায়, 'দ্বিতীয় স্তম্ভ হল, কুম্ভমেলার বৃত্তাকার অর্থনীতি অনুশীলন পদ্ধতি। কুম্ভের তীর হয়ে বয়ে যাওয়া নদী শুধুমাত্র একটি জলের স্রোত নয়, বরং আমাদের জীবনের প্রবাহও। এই প্রবাহেই আমরা বিশ্বের থেকে যে পাপগুলি নিয়ে থাকি, তাই আবার ফেরত দিয়ে আসি।'
প্রয়াগরাজ: ভারতীয় ধনকুবেরদের তালিকায় তিনি অন্যতম। সম্প্রতি, অংশ নিয়েছিলেন মহাকুম্ভেও। তিনি গৌতম আদানি। মহাকুম্ভ নিয়ে আপাতত প্রশংসায় গদগদ হয়েছেন তিনি। কী বলছেন?
তাঁর দাবি, ভারতের আধ্যাত্মিক পরিকাঠামোকে নেতৃত্ব প্রদান করছে মহাকুম্ভ। এই নিয়ে একটি প্রতিবেদনও লিখেছেন তিনি। সেখানে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার লেখেন, ‘ভারতজুড়ে বহু বন্দর, বিমানবন্দর তৈরি করেছি। কিন্তু মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো আমাকে বিস্মিত করেছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘কয়েক বছর অন্তর মাস কয়েকের জন্য নিউইয়র্ক শহরের থেকেও বড় এই এলাকাটি সেজে ওঠে। যেখানে না রয়েছে কোনও বোর্ড মিটিং, না রয়েছে কোনও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, না অন্য কোনও চাপ। রয়েছে শুধু এমন একটি শিক্ষা, যা শতবর্ষ ধরে প্রবাহমান।’
ভারতকে কীভাবে অধ্যাত্মিক পরিকাঠামোর দিক থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে কুম্ভ? এই প্রসঙ্গে গৌতম আদানির দাবি, মূলত তিনটি স্তম্ভের ভারেই টিকে রয়েছে কুম্ভের আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব। কী সেই স্তম্ভগুলি? তিনি জানালেন, ২০ কোটির মানুষের একটি ক্ষেত্রে এসে একই সঙ্গে, একই উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া, কখনওই সমাপতন কিংবা আত্মার সঙ্গম নয়। এটি হল একটি আধ্যাত্মিক অর্থনীতির পরিচয়। যা এর অন্যতম স্তম্ভ। আর এই পুণ্য়ার্থী বা অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা যত বাড়বে, এই ক্ষেত্রটি ততই দক্ষ হয়ে উঠবে বলে দাবি তাঁর।
আদানির কথায়, ‘দ্বিতীয় স্তম্ভ হল, কুম্ভমেলার বৃত্তাকার অর্থনীতি অনুশীলন পদ্ধতি। কুম্ভের তীর হয়ে বয়ে যাওয়া নদী শুধুমাত্র একটি জলের স্রোত নয়, বরং আমাদের জীবনের প্রবাহও। এই প্রবাহেই আমরা বিশ্বের থেকে যে পাপগুলি নিয়ে থাকি, তাই আবার ফেরত দিয়ে আসি।’
কুম্ভের শেষ ও তৃতীয় স্তম্ভ হল, তার নেতৃত্ব প্রদানকারী চরিত্র ও সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষমতা। যা সেখানে আখড়াগুলি পালন করে থাকে, দাবি গৌতম আদানির।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই সস্ত্রীক মহাকুম্ভ থেকে ঘুরে এলেন গৌতম আদানি। সেখানে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন ইসকনের মহাপ্রসাদ বিলির কাজেও। মহাকুম্ভের শুভ তিথিতেই ইসকনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহাকুম্ভের মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা করেন তিনি। প্রতিদিন সেই যৌথ উদ্দ্যোগে কুম্ভে আগত ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থীদের চলছে মহাপ্রসাদ খাওয়ানো।