নয়া দিল্লি: অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তার মধ্যে আরও শক্তি বাড়ছে সীমান্ত সুরাক্ষা বাহিনীর। নেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিকল্পনা। সীমান্তে নজরদারির জন্য MALE ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এর জন্য চাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সবুজ সংকেত। ইতিমধ্যের শাহের দফতরের কাছ থেকে অনুমোদনও চেয়ে পাঠিয়েছে বিএসএফ। কেন স্পেশ্যাল ড্রোন কিনতে চাইছে বিএসএফ, কী তাদের কাজ?
MALE ড্রোনের পুরো কথা, অল্টিটিউড লং এন্ডোরেস (MALE) ড্রোন। এই ড্রোনগুলি মূলত সমস্যা প্রবণ ভূখণ্ড, এমনকী যে জায়গাগুলিতে বেশি নদী রয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা যাবে। এই এলাকায় পায়ে হেঁটে বা গাড়ি নিয়ে নজরদারি চালাতে বিশেষ বেগ পেতে হয় জওয়ানদের। তাই এই সমস্ত বন্ধুর এলাকায় নজরদারির ক্ষেত্রে বিশেষ কাজে আসবে এই ড্রোন।
বিএসএফ বলছে, ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পর্যবেক্ষণের জন্য এই ড্রোন সবথেকে বেশি কাজে আসবে। ঘন বন থেকে শুরু করে খোলা মরুভূমি সবই রয়েছে এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায়। এদিকে অনুপ্রবেশ থেকে চোরাচালান, সিংহভাগ ক্ষেত্রে এই রাস্তাগুলিই ব্যবহার করে থাকে দুষ্কৃতীরা। বিএসএফ বলছে, মাঝারি উচ্চতায় দীর্ঘ সময় ধরে উড়ে বেড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে এই বিশেষ ড্রোনের। উড়তে পারে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায়। রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর এবং উচ্চ-রেজলিউশন সম্পন্ন ক্যামেরা। যা যে কোনও প্রতিকূল আবহাওয়াতেও কাজ করতে সক্ষম। রিফুয়েলিং বা ব্যাটারি চার্জিং ছাড়াই থাকতে পারে ‘জীবন্ত’। ইন্টালিজেন্স, সার্ভিলেন্স এবং রিকনাইসেন্স (ISR) এর মতো কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় এই সব ড্রোনগুলি। শত্রুর ডেরায় আক্রমণের ক্ষেত্রেও এদের জুড়ি মেলা ভার।