Kailash Vijayvargiya: যৌন হেনস্থার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ‘সাময়িক স্বস্তি’ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র
Supreme Court: আজ এই বিষয় নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর।
নয়া দিল্লি :গণধর্ষণ মামলায় আজ সকালেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) উপর রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও পাঁচদিন বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর বেলা শেষে ওই মামলাতেই বিজয়বর্গীয়কে আরও কিছুটা স্বস্তি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আজ এই বিষয় নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর।
২০১৮ সালে দলেরই এক নেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে রয়েছে আরএসএস নেতা প্রদীপ জোশী এবং জিষ্ণু বসু। অভিযোগ, এরা প্রত্যেকেই কৈলাস সিংয়ের ঘনিষ্ঠ। ঘটনায় অভিযুক্ত রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অমল চট্টোপাধ্যায়কে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপরই তড়িঘড়ি আগাম জামিনের আবেদন জানান কৈলাস, প্রদীপ, জিষ্ণুরা। পুজোর মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ শুনানি ছিল শীর্ষ আদালত।
অভিযোগকারী নেত্রীর বক্তব্য, তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ওই বিজেপি নেতারা তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কোনওরকমে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। তাঁর আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে।
আজ মামলায় আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চে। আগাম জামিনের আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি বলেন, অভিযোগকারীর বক্তব্য় অনুযায়ী তিনি ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর ধর্ষিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ২০২০ সালে। প্রায় দুই বছর পরে।
আইনজীবী আরও বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই দুই বছরের মধ্যে ওই তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণে যুক্ত থাকার বিষয়ে কোনও কানাঘুষো শোনা যায়নি।
এদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবী কপিল সিবাল বিষয়টি নিয়ে আজ বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেননি আদালতে এবং বিচারপতিদের সিদ্ধান্তের উপরেই ছেড়ে দেন গোটা বিষয়টি। আগামী ১৬ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই মামলায় ইতিমদ্যেই অভিযোগকারী নেত্রীর জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটটির দুই সুপারভাইজ়ারেরও। জানা গিয়েছে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে একাধিক ব্যক্তি ওই ফ্ল্যাটে আসতেন বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন ওই দুই সুপারভাইজার।
এর আগে ১ অক্টোবর হাইকোর্টের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন জমা করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, প্রদীপ জোশী এবং জিষ্ণু বসু। সেই স্পেশাল লিভ পিটিশনের ভিত্তিতেই আজ এই শুনানি ছিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন : R G Kar Hospital: আদালতের হস্তক্ষেপেই কাটছে আরজি করের জট, মঙ্গলেই কাজে যোগ ইন্টার্নদেরও