R G Kar Hospital: আদালতের হস্তক্ষেপেই কাটছে আরজি করের জট, মঙ্গলেই কাজে যোগ ইন্টার্নদেরও

Calcutta High Court: হবু ও জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ, অনশনের কারণে হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দলাল তিওয়ারি নামে জনৈক ব্যক্তি।

R G Kar Hospital: আদালতের হস্তক্ষেপেই কাটছে আরজি করের জট, মঙ্গলেই কাজে যোগ ইন্টার্নদেরও
সন্ধ্যায় ইন্টার্নদের তরফে এল বার্তা, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে কাজে ফিরছেন তাঁরা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 9:15 PM

কলকাতা: দুপুরেই আদালত (Calcutta High Court) নিজের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে দেয়। আরজি করের আন্দোলন নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট সোমবারই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখালেও কাজে যোগ দিতে হবে ইন্টার্নদের। এরপরই সন্ধ্যায় ইন্টার্নদের তরফে এল বার্তা, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে কাজে ফিরছেন তাঁরা।

সোমবার সন্ধ্যায় আরজিকরের বহির্বিভাগ সংলগ্ন গেট থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। সেখানেই তাঁরা জানান, মঙ্গলবার থেকে আবারও মানুষের সেবা করবেন তাঁরা। কাজে যোগ দেবেন। যদিও অনশন প্রত্যাহার করবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

হবু ও জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ, অনশনের কারণে হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দলাল তিওয়ারি নামে জনৈক ব্যক্তি। অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে এই মামলা দায়ের করেন নন্দলাল। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

আন্দোলনকারীদের আইনজীবী এদিন এজলাসে জানান, ইন্টার্নরা কাজে যোগ দিতে প্রস্তুত। কিন্তু হলফনামা দিয়ে সমস্যার কথা জানাতে চান। এরপর বিচারপতি সরাসরি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ছাত্ররা জানান, তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। এমন জায়গায় আন্দোলন করবেন, যেখানে রোগী বা তাঁদের পরিজনরা যান না।

এরপরই বিচারপতি বলেন, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে হবে। কোনও রকম মাইকিং করা যাবে না। একই সঙ্গে তিনি আন্দোলনকারীদের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের সমস্যা কাকে জানাতে চান?’। জবাবে আন্দোলনকারীরা বলেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলতে চান তাঁরা। মেন্টর গ্রুপে যাঁরা আছেন, তাঁদের উপর ভরসা নেই। একই সঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য সচিবকেও জানাতে চান। তবে বুধবারের আগে তা কোনও ভাবেই সম্ভব হবে না।

এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘পরিষেবার কী হবে? আমরা যদি রেকর্ড চাই রোগী ভর্তির চেয়ে বেশি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা কি ভালো হবে আপনাদের জন্য? চাপে তো সবাই আছি। তার জন্য কাজ বন্ধ কি ঠিক?’ আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, ‘আমাদের জন্য শুধু কাজে ক্ষতি হচ্ছে এটা সঠিক নয়৷ ২২ দিন অনশনের পরেও সরকারের কোনও হেলদোল নেই।’

বিচারপতি দেবাংশু বসাক আন্দোলনকারীদের বলেন, আন্দোলন তুলে নিতে। তিনি বলেন, ‘জীবন রক্ষা আপনাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য নষ্ট হচ্ছে।’ বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত বলেন, ‘আপনাদের প্রতিবাদ করতে তো বারণ করিনি। আগামিদিনে অনেক বড় হবেন। কিন্তু আপনারা আপাতত আন্দোলনটা তুলে নিন।’ এরপরই সোমবার সন্ধ্যায় ইন্টার্নরা জানান, মঙ্গলবার থেকে কাজে ফিরছেন তাঁরা। ২৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ছাত্ররা। ২ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: স্কুলের দরজা খুললেও অত্যন্ত কৌশলী হতে হবে কর্তৃপক্ষকে, না হলেই বিপদ