Bengal Assembly: বিপুল জয় ‘বিধায়ক’ মমতার, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চায় সরকার পক্ষ

CM Mamata Banerjee: শীতকালীন অধিবেশনে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল বিধায়কদের।

Bengal Assembly: বিপুল জয় 'বিধায়ক' মমতার, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চায় সরকার পক্ষ
রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের প্রস্তাব আনতে পারে শাসকদল। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 9:56 PM

কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের প্রস্তাব আনতে পারে শাসকদল। শীতকালীন অধিবেশনে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল বিধায়কদের। ১ নভেম্বর থেকে বসতে পারে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। সরকারে হ্যাট্রিক করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চান দলীয় বিধায়করা। একই সঙ্গে বিপুল ভোটে জিতে ভবানীপুরের বিধায়ক হওয়ার জন্যও ধন্যবাদ জানাতে চান তাঁরা।

এখনও অবধি যা খবর, তাতে ১ নভেম্বর থেকে রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে পারে। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে এই অধিবেশন। ১ তারিখ দুপুর ১টা নাগাদ বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক হতে পারে। সেই অধিবেশনে কী কী বিল আনা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে কোনও ধন্যবাদজ্ঞাপণ করা যায় কি না এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর এ বিষয় চূড়ান্ত হবে।

পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন, ১ থেকে ১৮ তারিখ অবধি অধিবেশন চলবে। কয়েকটি বিল আটকে রয়েছে, সেগুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সঙ্কেত আসার পরই সমস্ত বিল বিধানসভার ১৮ দিনের যে অধিবেশন হবে, সেখানে আনা হতে পারে।

পাশাপাশি সরকার পক্ষের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা বা মুখ্যমন্ত্রীর এই বিপুল জয়ের জন্য কোনও ধন্যবাদ জানানো হবে কি না, সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে। চা চূড়ান্ত হবে আগামী ১ নভেম্বর দুপুর ১টায় বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠকে।

নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে জয়ের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজার ৩৮৯ ভোটের ব্যবধানে নিজের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে পরাজিত করেন তিনি। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে নিজের খুশি চেপে রাখেননি তিনি। বস্তুত এই প্রথমবার ভবানীপুরে কোনও ওয়ার্ডেই হারেনি তৃণমূল। যে কারণে ভোটারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মমতা।

গত ২০১৪ সাল থেকেই বিজেপি টানা লিড নিয়ে এসেছে এমন একটি মাত্র ওয়ার্ড রয়েছে। তা হল-৭০ নম্বর ওয়ার্ড। ২০১৪ সাল থেকে এই একটি মাত্র ওয়ার্ডে কখনই কোনও নির্বাচনে পিছিয়ে থাকেনি বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও এখান থেকে বিজেপি এগিয়ে ছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে মমতা এখানে প্রার্থী হতেই সব হিসেব-নিকেশ কার্যত উল্টে যায়।

ভবানীপুরের ৬৩ নম্বর, ৭৪ নম্বর ও ৭১ নম্বর ওয়ার্ড। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবাঙালি ভোটার বেশি। মোট ভোটারের ৫০ শতাংশই এখানে অবাঙালি। সেই ভোটও মমতাই ঝুলিতে ভরেন। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে গত ভোটগুলিতে গেরুয়া হাওয়া চললেও এবার ঘাসফুলের রমরমা হয়। ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে লোকসভা ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল এখানে, কিন্তু উপনির্বাচনে ভোট ছিল মমতা-মুখী।

আরও পড়ুন: R G Kar Hospital: আদালতের হস্তক্ষেপেই কাটছে আরজি করের জট, মঙ্গলেই কাজে যোগ ইন্টার্নদেরও